প্রসেনজিৎ ধর:-মঙ্গলবার হাবড়ায় সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ কার্যকর করা নিয়ে আদ্যপান্ত বিজেপি-কে তোপ দেগেছেন তিনি |জানিয়েছেন, সিএএ নিয়ে দরখাস্ত করলে নাগরিকত্ব বাতিল করে দেওয়া হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, যে ফর্ম ফিলাপ করতে বলা হয়েছে সেই ফর্মে বাবার জন্মের শংসাপত্র চাওয়া হয়েছে। সেই শংসাপত্র কি আদৌ কারোর কাছে রয়েছে?নির্বাচনের আগে সিএএ কার্যকর করা আসলে বিজেপির ভাঁওতা৷ শুধু তাই নয়, সিএএ-এর মাধ্যমে নাগরিকত্বের আবেদন করলেই বিদেশি অথবা অবৈধ নাগরিক হয়ে যেতে হবে বলেও সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গতকালই সিএএ কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তার পর এ দিন উত্তর চব্বিশ পরগণার হাবরায় সরকারি কর্মসূচির মঞ্চ থেকেই সিএএ নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকার এবং বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ হাবরা যেহেতু মতুয়া অধ্যুষিত এলাকার মধ্যেই পড়ে, তাই এই মঞ্চ থেকেই সিএএ নিয়ে আরও সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী৷ কারণ সিএএ কার্যকর হওয়ার পর মতুয়া গড়ে বিজেপিই সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ভোট দেন তো, আধার কার্ড আছে তো? তাহলে আবার কীসের নাগরিকত্ব? মনে রাখবেন, সিএএ-তে আবেদন করলেই আপনি অবৈধ নাগরিক হয়ে যাবেন৷ একটা ভোটের জন্য বিজেপির হাতে আপনার ভাগ্য দিয়ে দেবেন? শুধু দুটো সিটের জন্য? ভাঁওতা দিচ্ছে, ধাপ্পা দিচ্ছে৷ সব হারাবেন, এটাও যাবে, ওটাও যাবে৷ বিজেপির খেলা হচ্ছে হিন্দু হিন্দুতে, মুসলিমে মুসলিমে ভাগ করে দেওয়া৷’উল্লেখ্য, সোমবারই সারা দেশে কার্যকর হয়েছে সিএএ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটের আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বার বার দেশবাসীকে এও আশ্বস্ত করেছেন, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য সিএএ নয়।