দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি পেতে কত দিন লাগবে? ৩ এপ্রিলের মধ্যে এই প্রশ্নের জবাব রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকাকে দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই দিনের মধ্যে কোনও জবাব দিতে না পারলে মুখ্যসচিবকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এসপি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ একাধিক সরকারি কর্মী এই মুহূর্তে জেলে বা এজেন্সির হেফাজতে। এই ধৃত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর জন্য অনুমোদন চেয়ে রাজ্যকে বার বার চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই | কিন্তু অভিযোগ, বার বার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের তরফে সেই অনুমোদন দেওয়া হয়নি। শেষে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কতদিনের মধ্যে নেওয়া সম্ভব? জানতে চেয়ে এবার হাই কোর্ট রিপোর্ট তলব করল মুখ্যসচিবের। আগামী ৩ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের।শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোককুমার সাহার জামিনের মামলার শুনানিতে আদালত বলে, ‘কর্তব্যপরায়ণ সরকারি আধিকারিককে হেনস্থার হাত থেকে বাঁচাতে এই অনুমোদন গ্রহণের আইন রয়েছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে সেখানে হয়রানির অভিযোগ প্রযোজ্য নয়। যার ফলে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে অযথা এই দেরি দুর্ভাগ্যজনক। উচ্চতর সংস্থায় এই ধরণের দুর্নীতি জনগণের আস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। শুধুমাত্র সাজার মেয়াদকে দিয়ে এই ধরণের অপরাধের গুরুত্ব বোঝা যায় না। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।’আদালত এদিন জানিয়েছে, কেন অনুমোদন দিতে দেরি হচ্ছে ও কত দিনে অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে তা ৩ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা আকারে জানাতে হবে মুখ্যসচিবকে। আর তা করতে ব্যর্থ হলে ওই দিন আদালতে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal