দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-সকালে উঠেই ফোনে ফুটে উঠছে মেসেজ৷ আর তাতে রয়েছে বিকশিত ভারতের প্রচার, সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা৷ আর ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পাঠানো এই মেসেজ নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে৷ আর সেই বিতর্কের মাঝেই মেসেজটি পাঠানোর বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনামা দিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন৷বিরোধী দলগুলি নির্বাচন ঘোষণার পর এ ধরনের বার্তা পাঠানোকে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ জানায় কমিশনে। তার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককে অবিলম্বে ওই বার্তা পাঠানো বন্ধ করার নির্দেশ দিল। একইসঙ্গে নির্দেশ পালন যথাযথভাবে করা হচ্ছে তাও জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এতে ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে কমিশনের কাছে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ, এতে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে।কমিশনের নির্দেশের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক বলেছে, কিছু মেসেজ এখনও চলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতার কারণে। উল্লেখ্য কয়েক লক্ষ ভারতবাসীর কাছে বিকশিত ভারত সম্পর্ক লেখা প্রধানমন্ত্রী মোদীর নামাঙ্কিত বার্তা গিয়েছে হোয়াটস অ্যাপে। হোয়াটস অ্যাপ মেসেজে নাগরিকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক ও নিজ নিজ পরামর্শও চাওয়া হয়েছে। সরকারি প্রকল্প এবং নীতি সম্পর্কে তাঁদের মতামত জানতে চেয়েছেন মোদী।১৬ মার্চ নির্বাচন ঘোষণার পরেও দেশে ও বিদেশে অবস্থিত ভারতীয়রা ‘বিকশিত ভারত সম্পর্ক’-নামে একটি মেসেজে পেয়েছেন৷ হোয়াটসঅ্যাপের বিজনেস অ্যাকাউন্ট থেকে এই মেসেজ পাঠানো হচ্ছে৷ সেখানে একাধিক সরকারি প্রকল্প নিয়ে মোদির নামাঙ্কিত একটি চিঠিতে বিভিন্ন মতামত চাওয়া হয়েছে | সেখানে আর্টিকেল ৩৭০, তিন তালাক-সহ একাধিক ইস্যু রয়েছে | এই মেসেজের প্রেক্ষিতেই বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই ধরনের মেসেজ এখন পাঠানো আদর্শ নির্বাচনী বিধির বিরোধী |
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal