দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের দুজন অফিসারের বিরুদ্ধে। সূত্র মারফত তেমনই জানা যাচ্ছে। এবার ওই দু’জন অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হল। সোমবারই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যে দু’জনকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে সরানো হয়েছে, তাঁরা হলেন অমিত রায় চৌধুরী ও রাহুল নাথ। উভয়েই দফতরের সিনিয়র অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এবার তাঁদের পরিবর্ত হিসেবে রাজ্যের থেকে নতুন নাম চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই কার্যকর হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। মডেল কোড অব কনডাক্ট কার্যকর থাকাকালীন অফিসারদের অন্যত্র বদলি করার বিশেষ ক্ষমতা থাকে কমিশনের হাতে। এবার সেই ক্ষমতাবলেই ভোটের মুখে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠার কারণে দু’জনকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। যে দুই আধিকারিককে সরানো হয়েছে তাঁরা হলেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায় চৌধুরী এবং জয়েন্ট সিইও রাহুল নাথ।দীর্ঘ বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছে এমন সিনিয়র আধিকারিকদের দায়িত্ব থেকে সরাতে রাজ্যের কাছে আধিকারিকদের তালিকা চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই হিসেবে গত ১০ বছর ধরে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্বে রয়েছেন অমিত রায়চৌধুরী। অন্যদিকে, জয়েন্ট সিইও রাহুল নাথ দায়িত্বে রয়েছেন প্রায় ৬ বছর ধরে। সূত্রের খবর, অনেক বছর ধরে দায়িত্বে থাকার জন্যই দুই আধিকারিককে এদিন সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি এই দুই আধিকারিককে সরানোর পিছনে উঠে আসছে আরও একটি তত্ত্ব। সম্প্রতি, অমিত রায়চৌধুরী ও রাহুল নাথের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি দাবি করেন, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ এই আধিকারিকরা দায়িত্বে থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। তাঁর অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ।