Breaking News

আসানসোলে ক্লাস নাইনের ছাত্রীকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ,গ্রেফতার ৫!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, অভিযোগ উঠেছে এলাকারই ৭ যুবকের বিরুদ্ধে। কিশোরী নবম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা যাচ্ছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে আসানসোলের বারাবনি থানা এলাকায়। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।১৫ বছরের ওই কিশোরী বর্তমানে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাড়ি বারাবনির চিনচুড়িয়া গ্রামে। প্রতিবছর চৈত্র মাসে কালীপুজো হয় ওই গ্রামে। মেলা বসে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেই মেলায় দোকান দিতে আসেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতেরা বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, ‘গ্রামের এক নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে গিয়ে ধর্ষণ করেছে তারা। নির্যাতিতার বাবার দাবি, ‘মেয়ে বাথরুমে গিয়েছিল। সেই সময়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে। ৭ জন ছিল, ৫ জনকে ধরা হয়েছে। ২ এখনও বাকি আছে। তদন্ত করে খোঁজা হয়েছে, মেয়ে এসেছে। মেয়েকে পাওয়ার পর আমার সন্দেহ হয়েছিল,যে এই লোকগুলি হতে পারে। তারপরে ওদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছিল। ২ জন পালিয়ে যায়। ৫ জনকে আটক করে রাখা হয়’।প্রথমে অবশ্য বিষয়টি বুঝতে পারেননি পরিবারের লোকেরা। অনেকক্ষণ ধরে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। শেষে গ্রামেই এক জায়গায় ওই ওই নাবালিকাকে বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে। এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকেরা। বাউরি সমাজের রাজ্য সভাপতি সুমন্ত বাউরি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (হিরাপুর) ঈপ্সিতা দত্ত জানান, নবম শ্রেণির পড়ুয়ার উপর শারীরিক নির্যাতন হয়েছে। তদন্ত চলছে। ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *