দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- দিঘায় সমুদ্র স্নানের সময় স্পিডবোটের আঘাতে গুরুতর আহত এক মহিলা পর্যটক। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দিঘা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের কার্যত ঢল নামে |সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবারও দিঘা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ভিড় চোখে পড়ার মতো। আর পর্যটকের ভিড়ে বিপত্তি ঘটল দিঘা সমুদ্র সৈকতে। সমুদ্র স্নানের সময় গুরুতর আহত হল এক মহিলা পর্যটক। পরিবারের সঙ্গে ওই পর্যটক দিঘা বেড়াতে এসেছে। আর বেড়াতে এসেই বিপত্তি। মহিলার উপর দিয়ে স্পিডবোট চলে যাওয়ার অভিযোগ। বোটের পাখায় পর্যটকের দেহের বিভিন্ন অংশে কেটে গিয়েছে। আহত ওই মহিলার নাম ইয়াসমিনা খাতুন। তবে লাইফ জ্যাকেট থাকায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। ঘটনার জেরে অন্যান্য পর্যটকদের মধ্যে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।এদিনও সমুদ্র সৈকতে প্রচুর পর্যটক দেখা যায়। তাদের কেউ কেউ স্পিডবোটেও চাপছিলেন। ঠিক তেমনই স্পডিবোটে চাপেন, ইয়াসমিনা খাতুন। অভিযোগ, স্পিডবোট চালানোর সময় সচেতনতা অবলম্বন করা হয়নি। আর তাতেই বোট থেকে পড়ে যান ইয়াসমিনা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর উপর দিয়েই চলে যায় স্পিডবোট। তাতেই গুরুতর আহত হন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে জল থেকে তুলে পাড়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর একটি মোটরচালিত ভ্যানে করে ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।তবে মহিলা হাত, পা এবং পিঠে চোট পেয়েছেন। এই ঘটনায় বোট চালানোর ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবকে দায়ী করছেন অনেকেই।যদিও এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে গত অক্টোবর মাসেও এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল দিঘায়। স্পিডবোটের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন এক পর্যটক। ওই পর্যটক দিঘায় স্নান করার সময় আচমকা একটি স্পিড বোট এসে ধাক্কা মারে। ঘটনায় স্পিডবোটের পাখার আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন ওই পর্যটক। পরে ওই পর্যটকের চিকিৎসার জন্য কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপরেই পদক্ষেপ করে প্রশাসন। সিদ্ধান্ত হয়, ভিড় এলাকায় কোনও ভাবেই স্পিড বোট চালানো চলবে না। স্পিড বোট চালাতে গেলে ফাঁকা জায়গায় চালাতে হবে।