প্রসেনজিৎ ধর :-গত কয়েক দিন ধরে যেখানেই প্রচারে যাচ্ছেন, প্রায় সব জায়গাতেই গ্রামবাসীদের অভিযোগ এবং দাবি শুনছেন বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। তিনবারের সাংসদকে ঘিরে সোমবারও এক দল মানুষ পানীয় জল এবং রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানালেন। প্রচারে যেতে গিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ বীরভূমের সাঁইথিয়া এলাকায় আটকে থাকেন শতাব্দী। আবাস প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ করেন কয়েক জন। তবে বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, কেউ বিক্ষোভ দেখাননি। তাঁকে বাড়ির মেয়ে এবং দিদি মনে করে নিজেদের অসুবিধার কথা জানাচ্ছেন মানুষ। এটা তাঁদের আবদার। অন্য দিকে, গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, বিদায়ী সাংসদের এক নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘‘আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ঘটনাস্থলে থাকা সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা গ্রামবাসীদের কাছে প্রশ্ন করলে তৃণমূল প্রার্থী তাদের প্রশ্নের বিরোধিতা করেন। শতাব্দীর দাবি, সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা সঠিক প্রশ্ন করেননি। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে কেন গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করলেন এই প্রশ্ন না করে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা উচিত ছিল কী কী আবেদন করলেন এটিই মনে করেন শতাব্দী। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “একদম ফালতু কথা বলবেন না।” তারপর শতাব্দী গ্রামবাসীদের প্রশ্ন করেন, “আপনারা আবেদন করলেন না বিক্ষোভ দেখালেন।” গ্রামের মহিলারা বলেন, “আবেদন করলাম।” তখন পাল্টা শতাব্দী বলেন, “ওরা আবেদন করেছে। বিক্ষোভ দেখায়নি। এটা বলতে হবে আপনাকে।”সোমবার সাঁইথিয়ার বাতাসপুর এলাকায় ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী। গাড়িতে বাতাসপুর গ্রাম পেরোনোর সময় কয়েক জন মানুষ তাঁর গাড়ি থামান। শতাব্দীর কাছে পানীয় জল এবং রাস্তার দাবি নিয়ে অভিযোগ করেন। গাড়িতে বসেই গ্রামবাসীদের সমস্ত কথা শোনেন তিনি। আশ্বাসও দেন। অন্য দিকে, গ্রামবাসীদের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে পানীয় জলের অসুবিধার কথা বলা হলেও সেই সমস্যার সুরাহা করেনি প্রশাসন। এমনকি, গ্রামে বেশ কিছু রাস্তা সারাই হয়নি।