দিব্যেন্দু মজুমদার :- শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চনকে দেখলেই গ্রামের মহিলাদের মধ্যে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হচ্ছে। আর প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন গ্রামের মহিলারা- এরকমই দাবি বিদায়ী সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হাবেভাবে গ্রামের মহিলারা যে বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককের মুখ দেখতে চাইছেন না তা তারা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তাই দলের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে কল্যাণবাবু আগেই কাঞ্চন মল্লিককে বলে দিয়েছিলেন ‘গ্রামে এসো না।’
কাঞ্চন মল্লিক গ্রামে তৃণমূলের প্রচারে সামিল হলে গ্রামের মহিলারা যে তাকে ভালো মনে গ্রহণ করছেন না এটা তারা তৃণমূল প্রার্থীর সামনেই তাদের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কোন্নগরের নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে নেমে ক্ষুব্ধ কল্যাণ এদিন কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিরোধীরা বিষয়টিকে নিয়ে প্রচারের হাতিয়ার করতে চলেছেন। এই বিষয়ে কল্যাণ বাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন “ওনাকে আগেই আমি গ্রামে আসতে বারণ করেছিলাম। ওনাকে নিয়ে প্রচারে বেরোলে গ্রামের মহিলারা প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে মানুষের মন তো আমাকে বুঝতে হবে। আমি কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়, আমি সমষ্টিগত মানুষের জন্য। তাই কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না” | ফের তৃণমূল প্রার্থীর প্রচার গাড়িতে কাঞ্চন উঠলে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে কাঞ্চন মল্লিক মনঃক্ষুন্ন হলেন কি হলেন না তা নিয়ে প্রার্থীর তাতে কিছু আসে যায় না। তার কাছে সমষ্টিগত মানুষের সুবিধা অসুবিধা তাদের দুঃখ কষ্টটাকেই সবার আগে স্থান দিয়েছেন।