প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শনিবার দুপুরে ডেরেক ও ব্রায়েনের বেকবাগানের বাড়িতে আধঘণ্টার বৈঠকে ছিলেন ‘অভিমানী’ কুণাল ঘোষ । তাতে কি ‘বরফ গলল’? ‘দুঃখ’ মিটল? ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ আলোচনা সেরে বেরিয়ে ‘অভিমানী’ কুণাল ঘোষ বললেন ‘আহা কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে।’ সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, “তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব।” দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের পরই আস্তে আস্তে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন কুণাল৷ শেষ পর্যন্ত কুণালকে বোঝাতে এ দিন তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেন দলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷এদিন দক্ষিণ কলকাতায় ডেরেক ও ব্রায়েনের বাড়িতে প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিন নেতা৷ বৈঠক শেষে কুণাল বলেন, ‘বার বার বলেছি, তৃণমূলে ছিলাম আছি, থাকব৷ তৃণমূলের পরিবারে আমার পদ থাক না থাক আমি কর্মী সমর্থক হিসেবেই দলে থাকব৷ ব্রাত্য বসুর সঙ্গে ডেরেক ও ব্রায়েনের কাছে এসেছিলাম৷ কিছু কথা হয়েছে৷ আমি সেসব বাইরে বলব না৷ তবে তৃণমূলে ছিলাম, তৃণমূলেই থাকব৷ আমি তৃণমূল পরিবারের গর্বিত সদস্য৷ আশা করি দলও ভালবেসে, স্নেহ করে আমার উপরে আস্থা রাখবে৷’তাঁর ক্ষোভ মিটেছে কি না প্রশ্ন করলে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’ গানটি গেয়ে ওঠেন কুণাল৷