দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-ভোটপ্রচারে অন্যমেজাজে ধরা দিলেন দিলীপ ঘোষ | বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা বাজারে বুধবার প্রাতঃভ্রমণ করেন তিনি,জনসংযোগও করেন। এসবের পরে স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখেন । কার্জনগেটের কাছে বিসি রোডের ফুটপাত থেকে বেছে বেছে কিনলেন বেল। তারপর কিনলেন তরমুজ। তারপরেই দিলীপ ঘোষ বললেন, “বেল আর তরমুজ কিনলাম।গরমের ফল। শরীর ভাল থাকে।” বেল দিয়ে কী করবেন? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে মুচকি হেসে দিলীপ ঘোষের জবাব, ‘ভাবছি কার মাথায় ভাঙব।’বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা পরই প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণে যাচ্ছেন তিনি। সভা-মিছিল করছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন। প্রচারের ফাঁকে মাঝে মধ্যেই প্রতিপক্ষকে একহাত নিচ্ছেন। যা নিয়ে প্রবল বিতর্কও হচ্ছে। এসবের মাঝেই বুধবার সকালে বেরিয়ে সোজা বাজারে চলে যান দিলীপ ঘোষ। কেনেন তরমুজ ও বেল। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, সাতসকালে ফল কেন? মজা করেই দিলীপ বললেন, “বেলটা ভাবছি কার মাথায় ভাঙা যায়। আর তরমুজ শরীর ঠান্ডা রাখে।” এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পালটা দিয়েছে শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলছে, হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে মতিভ্রম হয়েছে। তাই কুকথা বলছেন। পাশাপাশি এদিন চা চক্রের আসরে তিনি বলেন,”এসএসসি বলে দিয়েছিল আমরা বাছবিচার করতে পারব না, রেকর্ড নেই। প্রধানমন্ত্রী যেই বললেন ন্যায্য চাকরি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়াবেন, প্রয়োজনে কোর্টে যাবেন, ঠিক তার দু’ঘণ্টার মধ্যেই এসএসসি বলল আমরা ঠিক রেকর্ড জমা দেব। সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চয়ই এই মামলার দ্রুত বিচার করবে।”দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, তিনদফা ভোটের পর তৃণমূলের মনোবল তলানিতে ঠেকেছে। তিনি বলেন, “লড়াইটা পাল্টে গেছে এখন। লড়াই এখন ময়দানে নেই, অফিসে লড়াই শুরু হয়েছে। হার নিশ্চিত জেনেই ওদের মনোবল ভেঙে গেছে। বর্ধমান দুর্গাপুরে মমতা ব্যানার্জি ১৮ দিন থাকবেন। গোটা রাজ্যে ভোটে ১৮ টা সিট পাবেন তো?”রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “বিজেপি হল মারদাঙ্গা করার পার্টি। দিলীপ ঘোষ হলেন সেই দলের নেতা। তাই উনিও মারপিটের কথাই বলছেন। ভোটে হারার ভয়ে আস্ফালন দেখাচ্ছেন।”