নিজস্ব সংবাদদাতা :-সন্দেশখালি নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। একের পর এক ভাইরাল ভিডিও সূত্রে উঠে আসা অভিযোগ ক্রমশ দানা বাঁধছে ভোটের আবহেই। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর নির্বাচন সদনে যান।সন্দেশখালির স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চাপে পড়ে যায় বঙ্গ–বিজেপি। গোটা পরিকল্পনার নাটের গুরু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই কথা বলেন সন্দেশখালির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরও বিজেপি নেতারা দাবি করে যাচ্ছেন এটা ভুয়ো। খোদ বিরোধী দলনেতা দাবি করেন এই ভিডিয়ো শুধু ফেক নয়, ডিপফেক। আজ, বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু–সহ আরও কজন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে নালিশ করা হয়েছে, মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ করার জন্য। সন্দেশখালির বিজেপি নেতাদের সেই ভিডিয়ো তুলে ধরা হয়েছে।দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে নালিশ জানিয়ে এলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তৃণমূলের দাবি, এই ‘ষড়যন্ত্রে’র সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিশেষত ভাইরাল ভিডিওয় যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে মিথ্যে ধর্ষণ মামলা নিয়ে প্রতিবাদী মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি নেত্রী পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাসকে থানায় তলব করল সন্দেশখালির পুলিশ | বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়ি গিয়ে এই মর্মে নোটিস দেওয়া হয়েছে।নিয়তি মাইতি নামে সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলা বুধবার রাতে বিজেপি নেত্রী তথা বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর সঙ্গী পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগে নিয়তি মাইতি জানান, তাঁকে না জানিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা রুজু করিয়েছে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পিয়ালি দাস এখন তাঁকে হুমকি দিচ্ছে। মানহানির মামলা রুজু করারও হুমকি দিয়েছে পিয়ালি। এই অভিযোগ দায়ের করার পর ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য বৃহস্পতিবার পিয়ালি দাসের বাড়িতে যায় সন্দেশখালি থানার পুলিশ। কিন্তু তাঁকে ও তাঁর পরিবারের কাউকে না পেয়ে বাড়ির সামনে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়। পিয়ালি দাসকে সন্দেশখালি থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।তৃণমূলের অভিযোগ, এই ‘ষড়যন্ত্র’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিকল্পনাপ্রসূত এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।