প্রসেনজিৎ ধর :- ফের বিতর্কিত মন্তব্য বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের। লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় হাইভোল্টেজ লড়াই। বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। চলতি নির্বাচনে একাধিক বার বেফাঁস কথা বলেছেন। উত্তাল হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। নির্বাচন কমিশন, শীর্ষনেতারা, সতর্ক করেছেন। তবুও চেনা মেজাজে দিলীপ ঘোষ। চতুর্থ দফার আগে সরাসরি পুলিশ প্রশাসনকে হুমকি বিজেপি প্রার্থীর।বর্ধমান থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবারই পুলিশকে নিশানা করেছিলেন দিলীপ। বর্ধমান থানার আইসি দিব্যেন্দু দাসের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন। শুক্রবারও পূর্ব বর্ধমানের রায়নগর এলাকায় প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘পুলিশ যদি বেশি প্রভুভক্তি দেখায়, তা হলে শুধু মুখে বলব না, থানা জ্যাম করে দেব গোটা রাত। ওরা ওদের কাজ করবে। আমরা আমাদের কাজ করব। কিন্তু ওরা যদি রাজনীতি করতে আসে, তা হলে ওদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করব।’’ তৃণমূলকেও নিশানা করেছেন দিলীপ। বলেছেন, ‘‘ভোটের দিনে যা করার তা-ই করব। এখানে অনেক ছোট ছোট নেতা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। টিএমসি ভয় দেখাচ্ছে, এতে এখানকার লোকেরা হাসাহাসি করছে। যারা ভোট করাত দাঁড়িয়ে থেকে, তাদের বাড়িতে ঢুকিয়ে দেব। বেশি বাড়াবাড়ি করলে বড় বাড়িতে পাঠিয়ে দেব।’’ পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘উনি তো খেলার আগেই গোল খেয়ে বসে আছেন। তাই যা খুশি বলছেন। আমরা কমিশনের কাছে দাবি করছি, দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুকথা বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি তাঁকে সেন্সর করে। নির্বাচন কমিশনও তাঁর ওই বক্তব্য নিয়ে নোটিস পাঠায় বিজেপিকে। নির্বাচনের তিন দিন আগে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।