দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-সবুজ শাড়ি, কপালে লাল টিপ, চোখে ‘সিগনেচার’ সানগ্লাস, সকাল সাতটা নাগাদ কৃষ্ণনগর সিদ্ধেশ্বরী কালিবাড়ি লাগোয়া নিজের বাসভবন থেকে বার হন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। তাঁর কেন্দ্রের দিকে সমস্ত নজর ছিল। ‘ক্যাশ ফর কোয়্যারি’-র অভিযোগে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। এরপর সমস্ত দলের ফোকাসে ছিল কৃষ্ণনগর কেন্দ্র। সেখানে মহুয়ার সামনে রাজ পরিবারের সদস্য অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি| যদিও জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মহুয়া। এদিনের ভোট নিয়ে প্রশ্ন করতেই মহুয়া বলেন, “আমার পাঁচটাতে লিড ছিল, দুটোতে ডাউন ছিল। আমি নিশ্চিত গতবার ৬৫ হাজারে জিতেছিলাম, এবার অনেকটা পার করব। আমি ভোটটা নিজে করি। লোক দিয়ে করি। আমার নির্বাচন কমিশনের ওপর অভিযোগ, মোদী-শাহ দুই তৃতীয়াংশের বিচারে নিয়োগ করে, স্বাভাবিক এমসিসি ভায়োলেন্সে কমিশন কোনও পদক্ষেপ করে না। প্রথম দুফায় সাম্প্রদায়িক কথাবার্তায় তাতে কোনও পদক্ষেপ করেনি কমিশন। এবারও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে।”
অন্যদিকে চতুর্থ দফার ভোটের সকালে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগে সরব হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণনগরের রাজমাতা অমৃতা রায়। একেবারে কোতয়ালি থানায় ঢুকে আইসির সঙ্গে একপ্রস্থ বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। ভোটের দিনের এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকেও। যদিও তৃণমূল প্রার্থী এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিতে চাননি | মহুয়ার বক্তব্য, ‘ওনার এখন কী মানসিক অবস্থা, উনি এখন কী করছেন, সেটা তাঁকে জিজ্ঞেস করুন।’কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী বলেন,’ভোটাররা সব দেখছেন। ভোটের দিন আমি ভোট করছি। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হোক, সেটাই চাই।’ একইসঙ্গে অমৃতাকে রাজভবনে গিয়ে নালিশ জানানোর পরামর্শ দিয়ে মহুয়ার খোঁচা, ‘থানা তো খুব ছোটখাটো ব্যাপার। রাজমাতা,রাজভবন,বুঝতে পারছেন না আপনারা? বুঝে নিন।’ লোকসভা ভোট পর্বে আজ থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন অমৃতা রায়। সেখান থেকে বেরিয়ে অমৃতা বলেন, ‘পুলিশ ডিউটি করবে। তার মানে এমন নয় যে পুলিশ উর্দি পরে গুন্ডাগিরি করবে।’