দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-জামিন পেলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত জীবনকৃষ্ণ সাহা। এদিন জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। ১৩ মাস ধরে জেলবন্দি রয়েছেন বড়ঞাঁর তৃণমূল বিধায়ক। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। এই দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়ার মিডলম্যানদের সঙ্গে বিধায়কের যোগাযোগ এবং আদানপ্রদানের অভিযোগে এই তল্লাশি। বড়ঞার আন্দি গ্রামে তাঁর বাড়িতে টানা ৭২ ঘণ্টা অভিযান চলাকালীন নিজের দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। পরে সন্ধে নাগাদ বাড়ির পিছন দিকের পুকুর ছেঁচে একটি মোবাইল উদ্ধার করেন বিশেষজ্ঞ তদন্তকারীরা। অপরটি তখনও পাওয়া যায়নি। সিবিআইয়ের দাবি, তথ্য লোপাট করতে মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলেছেন। টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। পরের দিন ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারও পরে দ্বিতীয় মোবাইল উদ্ধারের পর তাঁর সঙ্গে মিডলম্যানদের কথোপকথন উদ্ধার করেন। আগে কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন বড়ঞাঁর বিধায়ক। সেখানে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল বিধায়ক। অবশেষে মিলল মুক্তি। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে শুনানি হয় জীবনকৃষ্ণের। সেখানেই মঙ্গলবার বিচারপতিরা জানান, জীবনকৃষ্ণ সাহার এই মুহূর্তে ট্রায়ালের কোনও সম্ভবনা নেই। তাই অনন্ত কাল ধরে তদন্তের নামে কাউকে আটকে রাখা যায় না। তাই জামিন পেলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা।