ইন্দ্রজিত মল্লিক:- তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। রুজু হয়েছে খুনের চেষ্টার মামলা। এফআইআর খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ভোটের মধ্যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না রাজ্য সরকার। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী ২১ জুন এফআইআর-এর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কিনা তার বিচার হবে। তার আগে মামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। প্রথমে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে প্রথমে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মামলাটি ওঠে। তবে বিচারপতি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। এদিন রাজ্যের তরফে বলা হয়, এফআইআর রুজু হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে করা ঠিক না ভুল সেটা প্রমাণ হয়েই যাবে।
গত শনিবার রোড শো প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তমলুক হসপিটাল মোড়ে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে চাকরিহারাদের তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে থাকা লোকেদের সাথে বিজপি কর্মীদের মধ্যে কার্যত হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনায় অভিজিতের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠন। অভিজিতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মহিলাদের সম্ভ্রমহানি, মারধর সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে তাঁরা । এই ঘটনায় খোকন মাইতি নামে বিজেপির এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তার জামিন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, বিজেপি কর্মী খোকন মাইতির মামলায় অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ যে মহিলা অভিযোগ করেছিলেন তার কোনও গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। এজি বলেন, নিশ্চিত করছি ১৫ জুন পর্যন্ত প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ এবং তার পরের কিছুদিনের জন্য স্বস্তি পেলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।