Breaking News

‘রাম বা রহিম হোক, কাউকে ছাড়ি না’, সন্দেশখালি ইস্যুতে বসিরহাটে দাঁড়িয়ে বললেন মমতা!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-রাম বা রহিম হোক-কাউকে ছাড়া হয় না। সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বসিরহাটের জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মহাশয়, আপনি একজনকে (বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র) ফোন করছেন। আর সবাইকে শোনাচ্ছেন। পুরো শিখিয়ে দিয়ে। কতজনের খোঁজ নেন? আপনার আমলে ভারতবর্ষে মেয়েদের উপরে সবচেয়ে বেশি অত্যাচার হয়েছে। আমাদের এখানে যদি এক-দুটো ঘটনা যদিও বা ঘটে, আমরা সঙ্গে-সঙ্গে ব্যবস্থা নিই। সে যেই হোক – রামই হোক বা রহিমই হোক। কেষ্টই হোক বা বিষ্টুই হোক- আমরা কাউকে ছেড়ে কথা বলি না। আমরা অ্যাকশন নিই।’এই সন্দেশখালিতেই তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে যাবতীয় কুকীর্তির অভিযোগ উঠেছিল। শাহজাহান এখন জেলবন্দি। বিজেপির দাবি, মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে তৃণমূল পরিচালিত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ নেয়নি। এদিন বসিরহাট থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জবাবে বললেন, ‘‘এই আমলে ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি মেয়েদের উপর অত্যাচার হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। দলিতদের উপর অত্যাচার হয়েছে। আমাদের এখানে হয় না। আমাদের এখানে যে দু-একটা ঘটনা হয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবস্থা নিই। রাম হোক বা রহিম, কেষ্ট হোক বা বিষ্টু। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কাউকে ছাড়া হয় না।’’শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরির অভিযোগ রয়েছে ভুরি ভুরি। এদিন তা নিয়ে মমতার বক্তব্য, ‘‘এমনিতে সন্দেশখালি দ্বীপাঞ্চল, এখানে অনেকটা ভিতরের জায়গা। এখানে অনেক মাছের ভেড়ি আছে। অনেকে অনেকের ভেড়ি দখল করে নেয়। আমরা তাই একটা পলিসি তৈরি করছি। জোর করে ভেড়ি কেড়ে নেওয়া যাবে না। যার ভেড়ি, সে চাষ করুক। না হলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো চালাক। কিন্তু সরকারের রেকর্ডে নাম রাখতে হবে। সরকারকেও তার জন্য একটা শুল্ক দিতে হবে। তাতে ভেড়িতে অধিকার বজায় থাকবে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *