প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-ফের একবার সারা বাংলা যখন আরও একটি বিধ্বংসী ঝড়ের প্রহর গুনছে তিনি তখন চুপিসারে হাজির কান্তি বুড়ো। তিনি যেন ঝড়ের ত্রাস। জামার আস্তিন গুটিয়ে তিনি দিব্যি নেমে পড়েন ময়দানে। রেমালের মোকাবিলা করতে তিনি যেন একাই সিদ্ধহস্ত। আমফান, ইয়াস, বুলবুলের মতো একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের সময় ত্রিপল,ত্রাণ নিয়ে ছুটতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন সুন্দরবন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে।ক্ষমতায় না থাকলেও মানুষের পাশে থাকা যায়, একথা রাজনৈতিক নেতাদের চোখে আঙুল দিয়ে বার বার দেখিয়ে দিয়েছেন অশীতিপর কান্তি। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এবার রেমালের কথা মাথায় রেখে রায়দিঘিতে সেফ হাউস খুলেছেন কান্তিবাবু। সেখানে আশ্রয় নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বৃষ্টি মাথায় করে সেই সেফ হাউস দেখাশোনার কাজে নেমে পড়েছেন বর্সীয়ান বাম নেতা। নদীর পাড়ে গিয়ে বুঝে নিচ্ছেন পরিস্থিতি কতটা খারাপ আকার নিতে পারে। সেই মতো গ্রামবাসীদের বার্তা দিচ্ছেন, মানুষ ও গবাধি পশুর সুরক্ষায়।পাশাপাশি এক ভিডিও বার্তাও পোস্ট করেছেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষকে তিনি নির্দেশ দিচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ৩০ বছর ধরে সুন্দরবনের ঝড়-ঝঞ্ঝার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি। ২০০৯ সালের ২৬ মে আয়লা আছড়ে পড়েছিল সুন্দরবনের বুকে। আজও সেই ২৬ মে। আমি তো সরকারে নেই তাই আশেপাশের মানুষের সাহায্য নিয়ে যতটা সম্ভব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি।”