নিজস্ব সংবাদদাতা :- বিডিওকে পাত পেলে আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন স্থানীয় তৃণমূলের নেত্রী। পূর্ব বর্ধমানের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে তেমন বিতর্কের কারণ দেখছেন না স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব কিংবা বিডিও নিজেও।এই ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সমালোচনা করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কাকলি গুপ্ত বিডিওকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ান। উপস্থিত ছিলেন এলাকার দাপুটে নেতা যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কাকলি বিডিও রজনীশ কুমার যাদবকে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে, ধান দুর্বা মাথায় ছুঁয়ে আর্শীবাদও করেন। বিডিওকে রীতিমত কাকলির পায়ে হাত প্রণাম করতেও দেখা যায় ভিডিয়োতে।বিডিও সাহেবকে তৃণমূল নেত্রীর উদ্যোগে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোর এই পর্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ভিডিওটি পোস্ট করে কটাক্ষের সুরে লিখেছেন, “কি চমৎকার! পঞ্চায়েত সমিতি অফিসের মধ্যে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের দ্বারা আয়োজিত বর্ধমান-১ বিডিও-এর প্রাক বিবাহ উৎসব। অফিসারকে টিএমসি নেতার পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ চাইতে দেখা যায়। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই ঘটনাটি একটি ব্যতিক্রম নয়, এটি পশ্চিমবঙ্গব্যাপী আদর্শ একটি বিষয় হয়ে উঠেছে। আশ্চর্যের কিছু নেই যে শাসক দল এবং প্রশাসনের মধ্যে যে লাইনটি সর্বদা অস্পষ্ট ছিল তা সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলা হয়েছে।”যদিও বিডিও রাজনীশ কুমার যাদব বিষয়টির মধ্যে অন্যায়ের কিছু দেখছেন না। কাকলীদেবীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করা ইস্যুতে তিনি জানিয়েছেন, বয়সে বড় হওয়ায় তিনি কাকলিদেবীকে প্রণাম করেছেন। অন্যদিকে যাঁর উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেই তৃণমূলনেত্রী কাকলি গুপ্ত জানিয়েছেন, সরকারি দফতরের কাজ শেষের পরেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে তিনিও বিতর্কের কিছু দেখছেন না।