দেবরীনা মণ্ডল সাহা:-ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়িতে আগুন। আর মৃত্যু হল তিনজনের। মা, ছেলের পর মারা গেলেন গৃহকর্তাও। আজ, শনিবার সকালে বর্ধমানের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে গৃহকর্তার। তবে বাড়িতে এই আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। বোলপুরের রায়পুরের সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন গীত গ্রামের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কে বা কারা এই আগুন লাগাল সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করেছে পুলিশ।শেখ তুতা ও তাঁর স্ত্রী রুপা বিবি, বোলপুর থানার রায়পুর সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন গীত গ্রামের বাসিন্দা। দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। যাদের নাম আয়ান শেখ ও শেখ রাজ |বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ছোটো ছেলেকে নিয়ে দম্পতি ঘুমিয়ে পড়েন। খোলা ছিল জানলা। অভিযোগ, সেই সুযোগকেই কাজে লাগায় অভিযুক্তরা। জানলা দিয়ে ঘরে ছিটিয়ে দেওয়া হয় কেরোসিন। তারপর ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠলে আর্তনাদ করেন দম্পতি। সেই সময় তা শুনতে পান শেখ রাজ। সে ছুটে পাশের ঘরে এসে দেখে দাউ দাউ করে জ্বলছে লেলিহান শিখা।ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎ দাউ দাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আর্তনাদ করেন দম্পতি। তখন তা শুনতে পান শেখ রাজ। সে ছুটে পাশের ঘরে এসে দেখে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে আসে বড় ছেলে। কিন্তু তখন ভাইয়ের সঙ্গে বাবা–মাও অগ্নিদগ্ধ হয়ে গিয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।তড়িঘড়ি তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদেরকে বর্ধমানের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে প্রথমে ছোটো ছেলে আয়ানের মৃত্যু ঘটে। পরে মায়ের মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে ওই বেসরকারি হাসপাতালেই প্রাণ গিয়েছে মহিলার স্বামীরও। একই পরিবারের তিনজনের প্রাণহানির নেপথ্যে আসল কারণ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।অন্যদিকে এই ঘটনা বগটুইয়ের ঘটনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।