দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বিধানসভার অধিবেশন চলছিল। শাসক–বিরোধী দু’পক্ষের বক্তব্য পাল্টা বক্তব্যে ক্রমশ পরিস্থিতি তপ্ত হচ্ছিল। তার সঙ্গে ছিল স্লোগান, পাল্টা স্লোগানের দাপট। তারই মধ্যে বিধানসভার লবিতে আজ, বুধবার নিজের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অধিবেশনের প্রথম পর্বের পর নারী নির্যাতন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি তুলে বিধানসভার গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। তখনই সাংবাদিকদের সামনে শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক অভিযোগ করেন।অধিবেশনের প্রথম পর্বের কাজ শেষ হওয়ার পর নারী নির্যাতন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি নিয়ে বিধানসভার গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। তখনই সাংবাদিকদের সামনে শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “বিধানসভার লবিতে আমি যখন বেরোচ্ছিলাম, তখন পূর্বস্থলীর বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে চায়। বিজেপি এমএলএ-রা কেন্দ্রীয় বাহিনী পায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাইরে রাখার অর্ডার রয়েছে। আমি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, লিখে পাঠাচ্ছি এখনই।” এদিন বিধানসভায় অধিবেশন শুরুর থেকেই আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তখনই হঠাৎ পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় তেড়ে আসে শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। তপনবাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘কে আমার মেয়ের চাকরি করিয়েছে? আমার নাকি কলকাতায় দুটো ফ্ল্যাট! তার চাবি দাও আমাকে।’ শুভেন্দুর দাবি, বাকবিতণ্ডা সময়ই তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছেন। বিধানসভার ভিতরে–বাইরে হেনস্থা করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি বিধানসভায় আক্রান্ত হয়েছি। কোনও বিজেপি বিধায়ক আক্রান্ত হলে সেটার দায় স্পিকারের।’শারীরিক নিগ্রহ করার চেষ্টার অভিযোগ কাণ্ডে স্পিকারকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। স্পিকারকে লেখা শুভেন্দু অধিকারীর চিঠিতে এ-ও উল্লেখ করেন, ‘‘বিধানসভার অন্দরে আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আগামী দিনে কোনও যদি অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে তার দায় সম্পূর্ণভাবে স্পিকারের উপর বর্তাবে।’’ বিধানসভার সদস্য, পূর্বস্থলীর বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার দাবিও জানান শুভেন্দু।