দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রীকে ছুরির কোপ মারার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন এই ঘটনা হয়েছে। ছাত্রীকে কোপ মারার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন অভিযুক্ত যুবক। দু’জনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিশ্বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবক সেখানকার প্রাক্তনী।দু’জনই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনা কার্যত আরও একবার মনে করিয়ে দিচ্ছে মুর্শিদাবাদের সুতপা চৌধুরীর কথা। ২০২২ সালের মে মাসে বহরমপুরে সুতপা নামের এক ছাত্রীকে মেসের সামনে পরপর কোপ মেরে খুন করা হয়। সেই রকমই ঘটনারই কি পুনরাবৃত্তি ঘটল এ দিন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে? এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে কীভাবে অস্ত্র নিয়ে ঢুকল এক বহিরাগত সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।জানা যাচ্ছে, জখম যুবতীর নাম তনুশ্রী চক্রবর্তী। তিনি অঙ্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সম্প্রতি দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। এদিন বিজ্ঞান বিভাগের সামনেই তাঁর গলা কাটার অভিযোগ ওঠে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন পড়ুয়া অলোক মণ্ডলের বিরুদ্ধে। কার্যত ছুটে এসে তনুশ্রীর গলায় চাকু চালিয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এখানেই শেষ নয়, মেয়েটির গলা কাটার পর নিজের গলাও কেটে ফেলেন তিনি। এমনটাই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের| বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত চার্জ) তথা ডেভলপমেন্ট অফিসার রাজীব পুততুণ্ড জানিয়েছেন, ‘‘আক্রান্ত ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ছাত্র, দু’জনেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখন কীভাবে ওঁদের জীবন বাঁচানো যায়, সেই বিষয়টাই দেখছি। উপাচার্যও এই বিষয়টি দেখছেন। হঠাৎ করে এই কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। আগে দু’জনের জীবন সংশয় কাটুক। তারপর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার বিষয়টিও প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে |