প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বিধানসভার নিগ্রহ বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না৷ গত বুধবার বিধানসভার অধিবেশন কক্ষের বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের বাদানুবাদ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিবৃতি দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু, তারপরেও থানা থেকে এই বিষয়ক অভিযোগ প্রত্যাহার করতে নারাজ তপন৷ তাঁর সাফ কথা, ‘‘অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিচ্ছি৷ কিন্তু থানায় দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করছি না।’’তৃণমূল বিধায়কের ব্যাখ্যা, “আমি ট্রেনে বাসে যাতায়াত করি। উনি বুধবার বিধানসভায় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। সেটা যে উনি করবেন না, সেই গ্যারান্টি কোথায়?”ঘটনার সূত্রপাত, বুধবার অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার লবিতে বিরোধী দলনেতার দিকে তেড়ে যান শাসকদলের পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। শুভেন্দুর উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “কে আমার মেয়ের চাকরি করিয়েছে?” বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে তৃণমূলের বিধায়ক তপন এও বলেন, “আমার নাকি কলকাতায় দুটো ফ্লাট! তার চাবি দাও আমাকে!”শুভেন্দু-তপনের মধ্যে বেশ কয়েকমিনিট কথা কাটাকাটিও হয়। বিজেপি বিধায়কদের অভিযোগ, অকথ্য ভাষায় বিরোধী দলনেতাকে গালিগালাজও করেন তপন চট্টোপাধ্যায়। যদিও গালাগালির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “লোকসভা ভোটের প্রচারে আমার মেয়ের চাকরি ও কলকাতায় দুটো ফ্লাট রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু। উনি আমাকে এবং আমার মেয়েকে অপমান করেছিলেন। তাই আজ লবিতে গিয়ে ওর কাছে কৈফিয়ত চেয়েছি।” এদিন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বিবৃতিতে জানান, ‘‘গতকাল লবিতে যা আলোচনা হয়েছে তা অনভিপ্রেত। এটা না ঘটলেই ভাল হত৷ বাইরের ঘটনা অনেক সময় তা বিধানসভায় টেনে নিয়ে আসা ভাল৷ আমি অভিযোগ ও প্রতি অভিযোগ পেয়েছি। মার্শালের সাথে কথা বলেছি। সিসিটিভি (ফুটেজ) দেখেছি৷ নিরাপত্তার অভাব বোধ করবেন না৷ তবে কারও যদি ভয় থাকে এমন আচরণ করবেন না যাতে ভয় লাগে৷ সংযত আচরণ করুন সকলে৷’’