প্রসেনজিৎ ধর :- আর জি করের ঘটনায় যখন উত্তাল দেশ তখন আরও এক ফার্মাসির পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে খুনের অভিযোগ উঠল। কলেজের হস্টেল থেকে উদ্ধার হল ফার্মাসি কলেজের ছাত্রের মৃতদেহ। প্রথম বর্ষের ছাত্র নাম তোহিদ করিম। জাকির হোসেন ইনস্টিটিউট অফ মৃত ফার্মাসি কলেজের পড়ত মালদার ছেলে তোহিদ করিম। চলতি মাসের ১৩ অগাস্ট রাতে কলেজের হস্টেল থেকে উদ্ধার হয় তোহিদের নিথর দেহ।পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে তাদের ছেলেকে।ঘটনার পর স্থানীয় রঘুনাথগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ বলে অভিযোগ। বলা হয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই অভিযোগ পত্র নেওয়া হবে। এখানেই শেষ নয় কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং থানা থেকে জানানো হয় সংবাদমাধ্যমে না জানানোর জন্য।মৃত ছাত্রের বাবা, রেজাউল করিমের অভিযোগ, ১২ তারিখ রাত্রে ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে ছেলে বাড়ি থেকে আমের আচার এবং ছাতু আনার কথা বলেছিল। কোনরকম মানসিক অবসাদে ছিল না আমার ছেলে। তিনি বলেন, ‘‘যদি মানসিক অবসাদে থাকত তাহলে ১২ তারিখ রাতে ছেলের কথাবার্তায় আমরা বুঝতে পারতাম। আমি পেশায় লরি চালক সেই সূত্রে ১৩ তারিখ আমি রঘুনাথগঞ্জে ছিলাম।”সকাল থেকে আমার ছেলের ফোনে সুইচ অফ আসছিল। রাত ন’টা নাগাদ আমি হোস্টেলে যেতেই আমার ছেলের রুমমেট ফোন করে জানায় তোহিদ মারা গেছে। আমি হোস্টেলে গিয়ে দেখি আমার ছেলের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ আমাদের দেখানো হয়নি।”তিনি আরও বলেন,আমাদের খবর দেওয়া হয়নি অথচ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে। আমি না গেলে হয়তো জানতেই পারতাম না আমার ছেলে মারা গেছে দেহ হয়তো লোপাট করা হত। পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে তাই বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলছি আমি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।