দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা শহর উত্তপ্ত। বুধবার লালবাজার অভিযানের ডাক দেওয়া হয় কংগ্রেসের তরফে। সেই মিছিল ঘিরে একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে গেল ভরদুপুরে। বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল শুরু হয়। কিন্তু মিছিল ফিয়ার্স লেন ধরে লালবাজারের দিকে এগোনোর সময়েই সেটিকে বাধা দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় মিছিল।পুলিশি বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেস কর্মীদের একাংশ। এর পরই শুরু হয় উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কংগ্রেসের এই মিছিলের দাবি, কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ তিনি রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিও ওঠে মিছিল থেকে।এই মিছিল যাতে বেশি দূর এগোতে না পারে, সে জন্য পুলিশের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল আগে থেকেই। মিছিল যাতে লালবাজার পৌঁছতেই না পারে, সেজন্য কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয়েছিল গোটা এলাকাকে। সমস্ত রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। তার পরেও কংগ্রেসের মিছিল লালবাজার পৌঁছতেই পুলিশের তরফে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়।
জানা গেছে, কংগ্রেস নেতা সন্তোষ পাঠক, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, পশ্চিমবঙ্গ যুব কংগ্রেসের সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ একাধিক প্রদেশ কংগ্রেস নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে লালবাজারের সামনের গেট আটকে, রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতারা। সব মিলিয়ে একেবারে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি লালবাজারের সামনে। ভাঙা হয়েছে একের পর এক ব্যারিকেড। আগাম প্রস্তুতি নিয়েও, মিছিল সামাল দিতে একেবারে হিমশিম অবস্থা হয় পুলিশের।