প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মঘটের ডাক বিজেপির। বুধবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক গেরুয়া শিবির। এদিকে, আগামিকাল বাংলাকে সচল রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। তৃণমূলেরও হুঁশিয়ারি, “কাল কোনও ধর্মঘট হবে না।”এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধ পালন করতে নিষেধ করল নবান্ন। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট বার্তায় বাংলার জনগণকে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন বন্ধ পালন না করেন। তাঁরা যেন জনজীবন স্বাভাবিক রাখেন। এমনকি, সরকারি কর্মচারীদের প্রতি নবান্নের নির্দেশ, ‘‘দফতরে নিয়মমাফিক হাজিরা দেবেন।’’ এছাড়া পুজোর বিকিকিনি চলছে যে সমস্ত দোকান-বাজারে, সেই সমস্ত দোকানপাটও খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলিকে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে, এর জন্য কোনও রকম ক্ষতি যদি হয়, তবে সেই ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেবে খোদ সরকার। একই সঙ্গে নবান্ন জানিয়েছে, তারা সমস্ত পরিববহণের স্বাভাবিক চলাচল বজায় রাখার জন্যও আইনানুগ পদক্ষেপ করবে।ইতিমধ্যেই তিন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘাটালের বিজেপি নেতা সৌমেন চট্টোপাধ্যায়, বাবলু গঙ্গোপাধ্যায় এবং চন্দ্রকোনার মণ্ডল বিজেপি সভাপতি বিপ্লব মালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই মিছিল নিয়ে কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘আজকের অরাজকতা দিল্লির নিয়ন্ত্রণে হয়েছে। এটা একটা বড় চক্রান্ত। এটা নবান্ন অভিযান না সমাজবিরোধীদের অভিযান।’ বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বনধ ডেকেছে বিজেপি। বনধের ঘোষণার ১ মিনিটের মধ্যে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বনধ ব্যর্থ করার আহ্বান জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘ছাত্র সমাজের নাম করে বিজেপি বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। তাই এই বনধকে ব্যর্থ করতে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার আর্জি জানাচ্ছি।’কুণাল ঘোষের কথায়, ‘এটা ছাত্র সমাজের কর্মসূচি ছিল না। এটা বিজেপির সমাজবিরোধীদের কর্মসূচি। ওদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। তাই এই বনধকে বাংলার মানুষ ব্যর্থ করবেই। মানুষ সবটাই দেখেছেন। সকাল থেকে পুলিশকর্মীরা বারবার আক্রান্ত হয়েছেন। তবু শান্ত করার চেষ্টা করে গিয়েছেন আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনের নামে গুন্ডামি করা হল। কোথায় পড়ুয়া? অধিকাংশই তো মাঝবয়সী। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে অশান্তি তৈরির এই প্রচেষ্টা বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবে না।’