প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে একের পর এক কর্মসূচি করে চলেছে রাজ্য বিজেপি । শ্যামবাজারের পর এবার ধর্মতলায় টানা সপ্তাহব্যাপী ধর্না অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। এর পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিল তো চলছেই। এরই মধ্যে এবার আজ অর্থাৎ শুক্রবার পথে নামল বিজেপির মহিলা মোর্চা। তাঁরা পথে নেমেছে মহিলা কমিশন ঘেরাও অভিযানে। কথা ছিল, করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে সিটি সেন্টার ওয়ান পর্যন্ত বিজেপির মহিলা মোর্চা প্রথমে একটি প্রতিবাদ মিছিল করবে তারপর সেখান থেকে সোজা রাজ্য মহিলা কমিশনের দফতরে গিয়ে ঘেরাও এবং তালাবন্ধ কর্মসূচি পালন করবে। কিন্তু অতদূর যাওয়ার আগে মিছিল শুরুর মুখেই করুণাময়ীতে শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড়। অন্যদিকে নিক্কো পার্কের কাছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটকানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ মিছিল আটকালে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এর মধ্যে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই রাজ্য মহিলা কমিশনের অফিসার সামনে ধর্নায় বসে পড়েন তারা।মিছিলে থাকা মহিলা মোর্চার সদস্যরা সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে থেকে চাইলে কর্মসূচি শুরুর আগেই করুণাময়ীতে ব্যাপক হারে ধরপাকড় চালায় পুলিশ। যাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছেন আসানসোলের বিজেপি বিধায়কা অগ্নিমিত্রা পাল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী থেকে হুগলির প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রশ্ন তোলেন ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি হাসপাতালে দুষ্কৃতী হামলার দিনে এত পুলিশি তৎপরতা কোথায় ছিল। অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “কোনও বাধা আমরা মানব না। আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের কর্মসূচির জেরে ভয় পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য এত পুলিশ দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে আটকানোর চেষ্টা করছেন।”প্রাক্তন কেন্দ্রীয় দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, “রাজ্যে মহিলাদের ওপর প্রতিদিনই অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু, এই সমস্ত ঘটনার জন্য মহিলা কমিশনের কোনও পদক্ষেপই চোখে পড়ছে না। আদৌও রাজ্যে মহিলা কমিশনের কোন অস্তিত্বই চোখে পড়ছে না।”হুগলির প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “রাজ্যের মহিলাদের ভয় পাচ্ছেন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের যত বাধা দেওয়া হবে আমরা তত এগিয়ে যাব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি কাণ্ড নিয়ে যে নাটক করেছেন তা সবাই বুঝে গেছে।”শেষ পর্যন্ত মহিলা মোর্চার পাঁচ প্রতিনিধিদের মহিলা কমিশনের ভেতর যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সঙ্গে নিয়ে যাওয়া প্রতীকী তালা মহিলা কমিশনের গেটে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় রাজ্য মহিলা কমিশনের মূল গেটে।