দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আবার চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর জি কর-কাণ্ডের আবহে আট দিনের ব্যবধানে। শুক্রবার মোদীকে লেখা সেই দু’পাতার চিঠিটি সমাজমাধ্যমেও পোস্ট করেছেন মমতা।ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সপ্তাহখানেক আগেই চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ অগস্ট লেখা সে চিঠির কোনও উত্তর এখনও পর্যন্ত না আসায়, আজ, শুক্রবার, ৩০ অগস্ট ফের একই বিষয়ে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে চিঠির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই চিঠিতে মোদীর উত্তর না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে, আবারও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনার দাবি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়ন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ২০২৪ সালের ২২ আগস্ট আমার চিঠিটি ভুলে যাবেন না। এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। অথচ আপনার পক্ষ থেকে কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।’ এর আগে ২২ তারিখের সেই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, ‘গোটা দেশ জুড়ে যেভাবে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটছে তা নিয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিদিন দেশে গড়ে ৯০ জন মহিলার ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এতে দেশ ও সমাজের আত্মবিশ্বাস টলে যাচ্ছে। তাই এর অবসান ঘটানো জরুরি। এজন্য একটি কেন্দ্রীয় আইন প্রনয়ন করা উচিত। যাতে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হয়। এই সব ঘটনার শুনানির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গড়ে তোলা দরকার। যাতে ১৫ দিনের মধ্যে শুনানি শেষ করা যায়।’এবার মমতা প্রশ্ন তুললেন, এরকম একটি সংবেদনশীল বিষয় হওয়া সত্ত্বেও কেন সরাসরি কোনও উত্তর দিলেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি আরও বলেছেন, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের তরফ থেকে উত্তর দেওয়া উত্তরে বিষয়টির গুরুত্ব প্রতিফলিত হয়নি।মমতার এই দ্বিতীয় চিঠি প্রসঙ্গে কড়া জবাব দিয়েছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের চিঠির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল বলছেন। চিঠি লেখা বন্ধ করে, যে প্রশ্নগুলো উঠছে, তার জবাব দিন।’