ইন্দ্রজিত মল্লিক, কলকাতা:- টেলিফোনে এক নির্মাণ ব্যবসায়ীকে হুমকি দিচ্ছেন এক তৃণমূল নেতা। নির্মাণ ব্যবসায়ীকে বাড়িতে এসে দেখা করতে বলছেন সেই তৃণমূল নেতা। ঘটিনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড়ে । ডোমজুড়ে তৃণমূল নেতা কল্যাণ দাসের বিরুদ্ধে নির্মাণ ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন। এমন কি থানার সাথে সেই নেতার আঁতাত আছে বলেও অভিযোগ করেছেন।
নির্মাণ ব্যবসায়ীর দেওয়া অডিওতে শোনা যাচ্ছে,
কন্ঠস্বর ১: বিশ্বব্রতবাবু বলছেন? আমি ডোমজুর কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ও বালি জগাছা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কল্যাণ দাস বলছি।
কন্ঠস্বর ২: হ্যাঁ বলুন
কন্ঠস্বর ১: আপনার ছেলের দেখা করার কথা ছিলো। আপনার ছেলের দেখা করার সময় হলো না আমি সময়টা করে নেবো?
কন্ঠস্বর ২: ও আপনি একবার ফোন করে নিন। ও তো ছিলো না।
কন্ঠস্বর ১: কাকে ফোন করবো? ও তো সাইটে আছে! আমার সম্পর্কে আপনার কোনও ধারণা নেই।
কন্ঠস্বর ২: না না না.. আপনি এতো জোর গলায় কথা বলছেন কেন? কী ব্যাপার?
কন্ঠস্বর ২: কারণটা কীসের জন্য?
কন্ঠস্বর ১: কারণটা এলেই জানতে পারবেন।
কন্ঠস্বর ২: না যাবো না। আপনি কারণটা মুখে বলুন না।
কন্ঠস্বর ১: ঠিক আছে। আপনি আছেন কি না দেখে নেবো।
কন্ঠস্বর ২: না না না…
কন্ঠস্বর ১: আপনি আছেন কী না দেখে নেবো।
নির্মাণ ব্যবসায়ী বিশ্বব্রত মাইতি এই রেকর্ডিং নিয়ে নিশ্চিন্দা থানাতেও যান। তাঁর অভিযোগ, থানার আধিকারিক এক থেকে দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখে। তারপর জিডি নেয়। বিশ্বব্রত বলেন, “থানার আধিকারিক তাঁকে এক থেকে দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখে। কল্যাণ বলেছিলো ৫টায় আসবে। তাই আমাকেও বসে থাকার জন্য বলা হয়। কিন্তু আমি ক্রিমিনালের জন্য বসব কেনও? ক্রিমিনালের সঙ্গে কেন সমঝোতায় যাবো? আমি তখন বেরিয়ে যাই।” পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে জিডি নেওয়া হয়েছে। আইনানুযায়ী তদন্তের সাপেক্ষে যা করার দরকার থানা করছে।
যদিও ওই তৃণমূল নেতা কল্যাণ দাস নির্মাণ কর্মীর ছেলেকে রীতিমত হুমকির সুরে কী কারণে ডেকেছেন তা স্পষ্ট নয়। কল্যাণ দাস বলেছেন,”গোপাল কর্মকার বলে একজন জমি দিয়েছিলো। সে এসে আমায় বলে ঐ প্রমোটার ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়ে চলে যাচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবেই আমাকে বলেছে।” যদিও এই অভিযোগ নির্মাণ ব্যবসায়ী নস্যাৎ করেছে। তিনি বলেছেন, “জমিতো রেজিস্ট্রি করেই নিয়েছি। তার প্রমাণও আছে। জমির মালিককে জমি হস্তান্তর করার জন্য এখনও ২-৩ মাস আছে। দিয়ে দেওয়া হবে সেটাও বলেছি।” যদিও কল্যাণ দাস বলেন “জীবনে যদি কেউ দেখতে পারে যে আমি হুমকি দিয়েছি বা টাকা পয়সা চেয়েছি, যে শাস্তি দেবে আমি মাথা পেটে নেবো।”