প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ভাইরাল অডিও ক্লিপ কাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্ত হলেন ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত। বৃহস্পতিবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। তারপর শুক্রবার সকালে বিধাননগর আদালত থেকে মুক্ত কলতান। আদালতের বাইরে মালা পরিয়ে লাল আবির উড়িয়ে কলতানকে স্বাগত জানান দলের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জি, সৃজন ভট্টাচার্য, শতরূপ ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। জেল মুক্তির পরেই কলতান জানান, “এটা যে একটা ষড়যন্ত্র তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। তবে রাস্তা থেকে পিছিয়ে আসার কোনও প্রশ্ন নেই। যতক্ষণ না নির্যাতিতার বিচার হচ্ছে ততক্ষণ আলাদা কোনও অনুভূতির ব্যাপার নেই। এ লড়াই চলবে।”বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে মামলার দ্বিতীয় শুনানির দিনে কলতান দাশগুপ্তের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, পুলিশের সমস্ত অভিযোগই কল্পনা প্রসুত। কারণ, গ্রেপ্তারির পর পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে। অর্থাৎ পুলিশ গ্রেপ্তারি পরেই এফআইআর করেছে। আমার মক্কেলের কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। পুলিশ এই মামলা সাজিয়েছে নিজের কল্পনাকে সামনে রেখে। আইনজীবী ভট্টাচার্য বলেন, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী কোন নোটিশও পাঠানো হয়নি। ফলে একটি ফোন কলের ভিত্তির ওপর নির্ভর করে এই গ্রেপ্তারিতে আইনের কোন সায় নেই। এই সময়ই এজি কিশোর দত্ত আদালতকে বলেন, এই ফোনালাপের মধ্যে থেকে বোঝা যাচ্ছে একজন (সঞ্জীব দাস) অর্জুনের মত কথা বলেছেন, অন্যজন (কলতান দাশগুপ্ত) শ্রীকৃষ্ণের কাজ করেছেন। তবে পুলিশের আশঙ্কা থেকেই এই গ্রেপ্তারি এবং তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপরই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ মামলার শুনানি শেষ করে রায়দান স্থগিত রাখেন।
গতকাল রাত পৌনে সাতটা নাগাদ বিচারপতি ভরদ্বাজ মামলার অন্তর্বতী রায় ঘোষণা করেন। আদালত পাঁচশো টাকার ব্যক্তিগত জরিমানায় যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তের জামিন মঞ্জুর করার নির্দেশ দেন |