প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদে আমরণ অনশনের পথে গিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এবার জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিলেন নাগরিক সমাজের একাংশ। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে ফের আলোচনায় বসার আর্জি জানালেন তাঁরা। মঙ্গলবারই জুনিয়রদের সমর্থন জানিয়ে সিনিয়র ডাক্তাররাও বড় পদক্ষেপ করেন। আরজি কর হাসপাতালের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি অর্থাৎ অধ্যাপকেরা জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে প্রতীকী গণইস্তফা দেন। সেই তালিকায় জুড়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও মেদিনীপুরেও সিনিয়র ডাক্তাররা গণইস্তফা দিয়েছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানিয়ে নাগরিক সমাজের একাংশ চিঠি দিল রাজ্য সরকারকে |ইমেল বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিচার, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা, সুষ্ঠু পরিকাঠামোর দাবিতে গত ৯ অগস্ট থেকে জুনিয়র ডাক্তারেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহত্তর নাগরিক সমাজ একই দাবিতে মুখর। কিন্তু সিসি ক্যামেরা, রক্ষী নিয়োগ, রেস্ট রুম ও শৌচালয় তৈরি, ওষুধ-সরঞ্জামের পর্যাপ্ত জোগান, স্বচ্ছ রেফারেল সিস্টেম চালু, মেডিক্যাল কলেজে অনিয়ম ও ভীতির পরিবেশের অবসানের মতো ন্যূনতম পরিকাঠামোগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি থেকে গিয়েছে বলেই জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার এবং বহু রোগী-পরিজনের উপলব্ধি।’’ইমেলের বয়ান অনুযায়ী নাগরিক সমাজের একাংশের বক্তব্য, ‘‘আমরা মনে করি, ডাক্তারদের দাবি এবং অভিযোগগুলি একেবারেই যথার্থ এবং অনতিবিলম্বে সেগুলির সুরাহা হওয়া একান্তই প্রয়োজন। সেটা সার্বিক ভাবে নাগরিক নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সুরক্ষার সঙ্গেও সম্পৃক্ত।’’
জুনিয়র ডাক্তারদের এর আগে সরকার যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিল, সেগুলির ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত অগ্রগতি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানাতে অবিলম্বে তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব আলোচনায় বসা প্রয়োজন, মত নাগরিক সমাজের একাংশের। সেই সঙ্গে বাকি কাজ সম্পূর্ণ করার বিষয়েও নির্দিষ্ট সময় জানানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে ইমেলের মাধ্যমে। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘ডাক্তারেরা জীবন রক্ষা করেন। টানা অনশনে তাঁদের জীবনই বিপন্ন হতে দিতে পারি না আমরা। এ ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব প্রভূত। আশা করি সেই দায়িত্ব মেনেই সরকার অবিলম্বে পদক্ষেপ করবে।’’