প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের জামিন। ৯০ দিনেও চার্জশিট জমা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাই ২০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিল মঞ্জুর করল শিয়ালদহ আদালত। জামিন পেলেও এখনই জেল থেকে বেরোতে পারবেন না সন্দীপ। আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ওই মামলায় এখনও জামিন পাননি তিনি। অভিজিতের বিরুদ্ধে অবশ্য অন্য কোনও মামলা নেই। তাই তিনি জেল থেকে বার হতে পারবেন। তবে যখন থানায় ডাকা হবে, তখনই হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
শুক্রবার সিবিআই আদালতে ছিল আরজি করে খুন এবং ধর্ষণের মামলার শুনানি। এই মামলায় একটি চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। শুক্রবার সন্দীপ এবং অভিজিতের গ্রেফতারির ৯০ দিনের মাথায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। আদালতে সিবিআই জানায়, এই মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ধৃত সন্দীপ এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ। তারা চার্জশিট দিচ্ছে না। তাই আদালতকে আইন মেনে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে বলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এর পরেই অভিযুক্তদের আইনজীবী সওয়াল করে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলরা ৯০ দিনের বেশি সময় ধরে হেফাজতে রয়েছেন। তাই তাঁদের জামিন দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার (আইও) জানিয়েছেন, এই মামলার তদন্ত চলছে। তাই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে না। এর পরেই সিবিআই আদালতের বিচারক জামিন দেন সন্দীপ এবং অভিজিৎকে।আরজি কর কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। ওই চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে মূল অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখও করা হয়। তবে সন্দীপ ঘোষ কিংবা অভিজিৎ মণ্ডল ঠিক কীভাবে যুক্ত ছিলেন এই মামলায়, সে বিষয়ে চার্জশিটে সিবিআইয়ের তরফে সুস্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ নেই। সে কারণেই শুক্রবার শিয়ালদহ আদালত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে জামিন দেয়। ২ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে প্রতি মুহূর্তে সাহায্য করতে হবে দুজনকেই।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal