প্রসেনজিৎ ধর:- মালদহে দুই হাসপাতালে উত্তেজনা। ক্ষোভ উগরে পড়ল রোগী পরিবারের। প্রথম ঘটনাটি ঘটে পুরাতন মালদহের মৌলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চার বছরের এক শিশুকে নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন অভিভাবকরা। অভিযোগ, সেখানে এক চিকিৎসক শিশুটিকে ভর্তি করিয়ে নেন। কিন্তু অপর এক চিকিৎসক ওই শিশুটিকে রেফার করে দেন। তাই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন পরিবারের লোকজন। কর্তব্যরত চিকিৎসকের মারধর ও গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। উল্টো দিকে রোগী পরিবার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের ভাবুক অঞ্চলের রাঙামাটিয়া এলাকার এক ব্যক্তি তাঁর চার বছরের শিশুকে জ্বর নিয়ে মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এবং ভর্তির পরেই শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়। রক্তপরীক্ষা করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মালদহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসক অরিন্দম চাকি।স্থানান্তরিত করার পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ওই শিশুর মা-বাবা-সহ আত্মীয়রা। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পৌঁছলে তাঁরাও নাকি পরিবারের হাতে হেনস্তার শিকার হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “চিকিৎসকদের সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও পরিবার যা ব্যবহার করেছে, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এতে ডাক্তার কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও দোষ নেই।”একই সঙ্গে ভুল চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগে তেতে ওঠে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল। এতেই বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিজনেরা। মৃতের নাম শফিকুল ইসলাম (৩৫)। তিনি থানার বড়বাগান এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার গভীর রাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে তাঁর। পরিবারের লোকজন শফিকুলকে চিকিৎসার জন্য মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এরপরেই কর্তব্যরত ডাক্তারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রোগীর আত্মীয়রা। তাঁরা অভিযোগ করতে থাকেন ভুল চিকিৎসার ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। শুরু হয় বচসা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন রোগীর পরিবার।