দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- মাকে সাত সেকেন্ডের একটা ফোন, বলল- ‘ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না।’ এই কথা বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই কালনার জিউধারা রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হল।
ঘটনাটি শুক্রবার রাতের। মৃত ওই ছাত্রীর নাম অঙ্গনা হালদার। তার বাড়ি ধাত্রীগ্রাম এলাকায়। আর তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই রেললাইন থেকে দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। সেখানে জিউধারা রেলগেট সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মায়ের সঙ্গে টোটোয় চেপে আমলাপুকুরে পড়তে যায় অঙ্গনা। সে টিউশনে চলে যাওয়ার পর তার মা কাছাকাছি এলাকাতেই ছিলেন। সন্ধে ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ ওই পড়ুয়া ফোনে মাকে জানায় যে, “ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না।” এর পরই ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়। আর যোগাযোগ করা যায়নি। বিপদের আশঙ্কায় কালনা থানায় যায় পরিবার। এর কিছুক্ষণের মধ্যে জিআরপি থানার পুলিশ কালনা স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে ডাউন লাইনের ধারে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্টেশন চত্বরের একাধিক সিসি টিভি ফুটেজে মেয়েটিকে একা ঘুরতে দেখা গিয়েছে। দেখা যায় ছাত্রী ওভারব্রিজে ওঠে আবার নেমে যায়। মায়ের সঙ্গে প্রতি দিনই পড়তে আসতেন ছাত্রীটি। বাড়ির দিকে না গিয়ে দেড় কিলোমিটার উল্টো দিকের রাস্তায় কেন গিয়েছিলেন, তারও উত্তর খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে কোনও সিসিটিভি ফুটেজ নেই। পুরো ব্যাপারটাতেই ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে।