দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- রাজ্যের ছটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের জেতানোর আহ্বান জানালেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘৬টা উপনির্বাচন আছে। বাংলায় সবার সঙ্গে মা মাটি মানুষ আছে। ৩৬৫ দিন আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি থাকব। সবাইকে বলব তৃণমূলকে ভোট দিন আমি দীর্ঘদিন বাদে দার্জিলিং যাচ্ছি। আমি চাই দার্জিলিং ভাল থাকুক। আমি তো চাইব এই নির্বাচনে বিজেপি এর বিরুদ্ধে ভোট হোক। দার্জিলিং যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী আমি বছর দেড়েক পরে দার্জিলিং যাচ্ছি ৷ মাঝে একবার আমি কার্শিয়াং গিয়েছিলাম। পাহাড় সব সময় ভাল থাকুক ৷ পাহাড় দেখাশোনা করছিলেন অনীত থাপারা। পাহাড়ে শান্তি আছে। আমি সব সময় চাইব পাহাড়, ডুয়ার্স, তরাই সব ভাল থাকুক।’’সোমবার দমদম বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরা রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”সিতাই, মাদারিহাট, মেদিনীপুর, নৈহাটি, হাড়োয়া, তালড্যাংরায় ১৩ তারিখ উপনির্বাচন। সিতাইয়ে সঙ্গীতা, মাদারিহাটে জয়প্রকাশ, মেদিনীপুরে সুজয়, নৈহাটিতে সনৎ, হাড়োয়ায় রবিউল আর তালড্যাংরায় ফাল্গুনী সিংহবাবু লড়ছে আমাদের দল থেকে। ওঁরা সবাই খেটেছে। আমি সকল মা-বোনকে বলতে চাই, আমাদের প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করুন। এমনিতে আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ যে আপনারা সবসময়ে আমাদের পাশে থেকেছেন, ভরসা রেখেছেন। এবারও প্রার্থীদের জেতান। উন্নয়নের কাজ আরও ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করুন।”
নিজের দার্জিলিং সফর নিয়েও এদিন বললেন মমতা। কয়েকটি কর্মসূচি নিয়ে সেখানে রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের বললেন, ”অনেকদিন পর দার্জিলিংয়ে যাচ্ছি। নানা কারণে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এমনকী লোকসভা নির্বাচনের সময়ও যেতে পারিনি। কার্শিয়ং পর্যন্ত গিয়েছিলাম। ওখানে অনীতরা (অনীত থাপা) সব কাজ করেছে।”
এবারই প্রথম দার্জিলিংয়ে সরস মেলা হচ্ছে পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে। ম্যালের চৌরাস্তায় টানা ১১ দিন চলবে এই মেলা। ১৩ তারিখ দুপুর ৩টের সময় সেই মেলার উদ্বোধন করবেন মমতা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হস্তশিল্পীরা মেলায় যোগ দেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন ১২ নভেম্বর। ওই দিন দুপুর তিনটে থেকে সাড়ে তিনটে নাগাদ তিনি জিটিএ এবং পাহাড়ের বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল জিটিএ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক। একই সঙ্গে, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠক হবে মুখ্যমন্ত্রীর।