দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- এবার ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করল কলকাতা পুলিশ। ১০ সদস্য থাকবেন এই দলে। খুঁজে দেখবে কীভাবে ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে গেল, এর নেপথ্যে কোনও চক্র কাজ করছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হবে। ইতিমধ্যে ট্যাব কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ১০টি থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কলকাতা থেকেই ১০০ জনের বেশি পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব হওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে কলকাতা পুলিশের কাছে। সেই সব অভিযোগের তদন্তের জন্য এ বার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল লালবাজার। ওই দলে ১০ জন সদস্য রয়েছে।পড়াশোনার সুবিধার্থে রাজ্য সরকার একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের এককালীন ১০ হাজার টাকা দেয়। সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের অধীনেই এই টাকা দেওয়া হয়। পুজোর আগে সংশ্লিষ্ট পোর্টালে ছাত্রছাত্রীরা ট্যাব কেনার টাকার জন্য আবেদন করেছিল। পুজোর পর থেকেই পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি সেই টাকা ঢুকতে শুরু করে। অভিযোগ, অনেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই টাকা ঢোকেনি। শুরুটা হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। সেখানে বেশ কয়েক জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার পর বিভিন্ন জেলা থেকেই পড়ুয়াদের টাকা গায়েবের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।লালবাজারের অনুমান, সরকারি কোনও কর্মী এই চক্রের মাথাকে তথ্য দিচ্ছে। এটি স্পষ্ট করতে ফরেনসিক অডিট করা হবে এবং সবকটি দপ্তরের কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস খতিয়ে দেখা হবে। কলকাতায় দায়ের হওয়া অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চোপড়া, ইসলামপুর ও তার আশপাশের এলাকার বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকাগুলো ঢুকেছে। বছরখানেক আগে আধার কার্ডের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা এইপিএস জালিয়াতি করে টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটছিল। সেই চক্রটি আবার সক্রিয় হয়ে এভাবে জালিয়াতি করে থাকতে পারে বলেও অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।