প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস অভিযানের ডাক দেয়। ওই কর্মসূচি ঘিরে শুরু থেকেই সতর্ক ছিল কলকাতা পুলিশ। মিছিল এগোনোর চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। বেকবাগানের কাছে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।শিয়ালদহ থেকে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড ধরে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের কাছাকাছি মিছিল পৌঁছতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। ভাঙল ব্যারিকেড। আহত এক পুলিশকর্মী। বৃহস্পতিবার বেকবাগানের কাছে পুলিশ মিছিল আটকাতে ব্যারিকেড দিয়ে দেয়। এদিকে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর তারপরই বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এক পুলিশকর্মী আহত হন। ব্যারিকেডের নীচে চাপা পড়ে আহত হন বেশ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার কলকাতায় মিছিল ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো পুলিশ একাধিক ব্যারিকেড প্রস্তুত রাখে। তবে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পর পর ব্যারিকেড ভাঙতে ভাঙতে এগোতে শুরু করেন। শেষে পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ উপদূতাবাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সেখানে একটি স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। বাংলাদেশ উপদূতাবাস থেকে বেরিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জানান, তাঁরা চিন্ময়ের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। মমতা জানান, কলকাতায় ইসকনের সঙ্গে তিনি দু’বার কথা বলেছেন। তবে এটি দু’টি দেশের বিষয়। সে ক্ষেত্রে দেশের সরকার (কেন্দ্র) যা সিদ্ধান্ত নেবে, তিনি সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গেই থাকবেন।