প্রসেনজিৎ ধর :- দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া মুস্তাকিন সর্দারকে ফাঁসির সাজা শোনাল বারুইপুর আদালত। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় মূল অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বারুইপুরের ফাস্ট অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজেস কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। এরপর শুক্রবার রায় ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি, মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।তারিখটা ৪ অক্টোবর। বারুইপুর পুলিশ জেলার জয়নগর থানার মহিষমারি এলাকায় দশ বছরের এক নাবালিকার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। অভিযোগ ওঠে, মেয়েটির প্রতিবেশী, ১৯ বছরের যুবক মোস্তাকিন সর্দার নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে, গলা টিপে খুন করেছে তাকে। সেই ঘটনারই তদন্ত শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। সিট গঠন করে তদন্তও শুরু হয় ৭ তারিখ থেকে। নেতৃত্বে বারুইপুর পুলিশ জেলার এস.পি পলাশ ঢালী।এর পরে চার্জশিট জমা পড়ে ঘটনার ২৫ দিনের মাথায়, ৩০ অক্টোবর। এতটুকু সময় নষ্ট না করে, বিচার শুরু হয় ৫ নভেম্বর। মাত্র ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয় বিচারপ্রক্রিয়া। ৬ ডিসেম্বর, সেই ঘটনার ঠিক ৬২ দিনের মাথায় সাজাও ঘোষণা হয়ে গেল অভিযুক্তর। ফাঁসির আদেশ দিলেন বারুইপুর জেলা এবং দায়রা আদালতের অধীন পকসো কোর্টের মাননীয় অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।
এত দ্রুত ও তৎপর তদন্ত এবং সেই সঙ্গেই নাতিদীর্ঘ বিচার শেষে সাজা ঘোষণা—ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় বিরলই বলা চলে।
মামলার রায়দানের পর সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নৃশংস ঘটনা। বিরল ঘটনা। তাই ফাঁসির আবেদন করেছিলাম আমরা। বিচারক দোষীকে ফাঁসির সাজাই দিয়েছেন। এই মামলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ডিএনএ প্রোফাইল মিলে গিয়েছে। ফলে সন্দেহের আর কোনও অবকাশই থাকে না।’’