দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- পয়লা পৌষেই ভক্তদের জন্য তারাপীঠে বদলালো নিয়ম। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মোবাইল নিয়ে আর প্রবেশ করা যাবে না মন্দিরে। দেবীর চরণ স্পর্শ করলেও জড়িয়ে ধরা যাবে না।মঙ্গলবার থেকে ভোর সাড়ে ৫টায় সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয় তারা মায়ের গর্ভগৃহ। আবার ভোগের সময় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকে মন্দির। দেবী দর্শনের জন্য আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না সাধারণ পুণ্যার্থীদের। ভোরে গর্ভগৃহ খোলার পর প্রথম একঘণ্টা সাধারণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পুণ্যার্থীদের পুজো গ্রহণ করা হবে। বিশেষ লাইনে পুজো দিতে হলে মন্দির কমিটির অফিস থেকে কুপন সংগ্রহ করতে হবে। কৌশিকী অমাবস্যায় সময় এখানে তিলধারণের জায়গা থাকে না। তবে চলতি বছরে বদলে গেল তারাপীঠের বেশ কিছু নিয়ম। আর নতুন নিয়ম চালু হল পৌষ মাসের একেবারে প্রথম দিন থেকেই।কয়েকদিন আগে প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি সহ-সভাপতি ও সেবাইতরা। যেখানে জেলাশাসক মন্দির নিয়ে বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই নিয়ম আজ পৌষ মাসের এক তারিখ থেকে চালু হয়ে গেল।
নয়া নিয়মগুলি এক নজরে দেখে নেব:-
নির্দিষ্ট সময় মন্দির খুলতে হবে ও বন্ধ করতে হবে|
নির্দিষ্ট সময় মায়ের মন্দিরে ভোগ নিবেদন করতে হবে।
দু’টি লাইন পুজোর জন্য রাখতে হবে, অতিরিক্ত লাইন করা যাবে না। তারমধ্যে জেনারেল লাইনকে এক ঘণ্টা আগে চালু করতে হবে। তারপর বিশেষ লাইন খোলা হবে।
মন্দিরের গর্ভগৃহের ভেতরে গোলাপজল-আলতা ইত্যাদি দেওয়া যাবে না।
প্রতিমার চরণ স্পর্শ করা যাবে। তবে প্রতিমাকে জড়িয়ে ধরা যাবে না।
নিষিদ্ধ হয়েছে মোবাইল। অর্থাৎ মন্দিরে মোবাইল নিয়ে ঢোকা যাবে না।
মন্দিরের সেবাইত বলেন, “ভক্তদের জন্যই তারাপীঠ। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই কারণে যৌথ মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” কর্তৃপক্ষের কথায়, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতেই এই নিয়ম লাগু করার সিদ্ধান্ত।