প্রসেনজিৎ ধর :- ফের ছাত্রঙ্গনে রাজনীতির রেশ। সোমবার এসএফআই-টিএমসিপির সংঘর্ষে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল হাওড়ার আন্দুল কলেজে। মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল বারাসত গর্ভমেন্ট কলেজ এবং বারাসত কলেজে। মারমুখী হয়ে ওঠে দুই পক্ষ। সংঘর্ষ থামাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। হামলার মধ্যে পড়ে এক পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলেও খবর।
পরিস্থিতির জন্য টিএমসিপি ও এসএফআই নেতৃত্ব পরস্পরকে দুষছে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি সামলাতে এই মুহূর্তে এলাকায় নামানো হয়েছে ব়্যাফ। আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে বিচার চেয়ে সোমবার সোদপুর থেকে মধ্যমগ্রাম পর্যন্ত মিছিল করেছিল এসএফআই। এদিন ছিল মিছিলের দ্বিতীয় দিন। মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসত জেলাশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল এসএফআই|অভিযোগ, বারাসত কলেজ এবং বারাসত গর্ভমেন্ট কলেজে ওই মিছিল ঢুকতে গেলে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে টিএমসিপি। বহিরাগতদের কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার স্লোগান তোলে টিএমসিপি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জমায়েত পাল্টা জমায়েত ঘিরে রণক্ষেত্রর চেহারা তৈরি হয়। পরস্পর পরস্পরের দিকে ইট ছোড়ার অভিযোগ আনে।পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে মাঝে পড়ে জখম হন পুলিশের দু’জন কর্মী। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে নামানো হয়েছে ব়্যাফ। সংঘর্ষে টিএমসিপি এবং এসএফআইয়ের কয়েকজন জখম হয়েছেন বলেও খবর।ওই কলেজের অদূরেই শিয়ালদহ-বনগাঁ রেলপথ। কলেজের সামনে দিয়েই গিয়েছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। বিক্ষোভ আরও এগিয়ে যায় ১১ নম্বর রেলগেটের সামনে। সেই বিবাদ অদূরে বারাসত গভর্মেন্ট কলেজের সামনেও শুরু হয়ে যায়। টিএমসিপি ও এসএফআইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ আরও ছড়িয়ে পড়ে। গোটা এলাকা যানজটে স্তব্ধ হয়ে যায়। বারাসত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আরও বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে এক পুলিশ কর্মীর মুখ ফেটে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুই পক্ষকেই পুলিশ দূরে সরানোর চেষ্টা করে।