দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বড়দিনের আগে বড় উপহার পেল বাংলার ৫০ লক্ষ মানুষ।পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার বাংলা আবাস যোজনায় রাজ্যের ১২ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে গেল প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা।
একই সঙ্গে এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে আরও একটি বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাকি যে ১৬ লক্ষের বাড়ি বাকি রইল, সেটাও ২০২৬ সালের আগে আমরা দু’দফায় করে দেব। আগামী বছরের মে-জুন মাসে প্রথম ৮ লক্ষ এবং ডিসেম্বরে বাকি ৮ লক্ষকে বাড়ি তৈরির টাকা দেবে রাজ্য। মঙ্গলবার থেকে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় বাড়ি তৈরির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। পরের কিস্তিতে আরও ৬০ হাজার, মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন সভাঘরে প্রতীকী হিসেবে ৪২ জন সুবিধাভোগীর হাতে চেক ও স্মারকপত্র তুলে দেন তিনি। সঙ্গে জানান, “রাজ্য কথা দিলে কথা রাখে।”রাজ্যের ১২ লক্ষ পরিবার তথা প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ এর থেকে উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা খাতে কেন্দ্র ৬০ শতাংশ অর্থ দেয়। রাজ্য দেয় ৪০ শতাংশ। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার যেহেতু আবাস যোজনা খাতে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ ২০২২ সাল থেকে বন্ধ করে রেখেছে, তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থির করেন, এই খাতে ১০০ শতাংশ টাকাই রাজ্য দেবে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম দফায় প্রায় ৬,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার থেকে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা পড়বে। প্রাথমিকভাবে নবান্ন থেকে কয়েকজনের হাতে শংসাপত্র তুলে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য প্রতিটি জেলা থেকে দু’জন উপভোক্তাকে বাছাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর বাকি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা পড়বে। নবান্ন সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ১২ লাখ উপভোক্তাকে টাকা দেওয়া হবে। প্রথম কিস্তিতে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬০,০০০ টাকা জমা পড়বে। আর তারপর বাড়ির কাজ শুরু হলে মিলবে বাকি ৬০,০০০ টাকা। অর্থাৎ দুটি কিস্তি মিলিয়ে প্রত্যেক উপভোক্তা মোট ১.২ লাখ টাকা পাবেন বলে নবান্ন সূত্রের খবর। এই প্রসঙ্গে, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জিনেয়েছ, “ মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই আমরা টাকা দেব। আবাসের তালিকায় যোগ্য উপভোক্তাদের পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ও যারা অভিযোগ জানিয়েছিলেন তারাও পাবেন। তারাও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মোট সংখ্যা ১২ লক্ষ হয়েছে।”