দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হল মা এবং শিশুর ঝুলন্ত দেহ। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহর লাগোয়া বাদশাহী রোড এলাকায়। মৃতদের নাম মামণি সাউ বর্মণ (৩০) এবং প্রজ্ঞা বর্মণ (৪)। তাঁদের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায়। মামণির রেলকর্মী স্বামী চাকরির সূত্রে বর্ধমানে বাড়ি ভাড়া করেন।কেন এই চরম সিদ্ধান্ত? উত্তর খুঁজছে পুলিশ| স্বামী প্রভাঞ্জন বর্মন রেল কর্মী। তাঁর চাকরির কারণেই বর্ধমানের বাদশাহী রোডে ভাড়া থাকতেন। সোমবার বেলা হয়ে গেলেও মামণির সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। ডাকাডাকি করলেও লাভ হয়নি। এক পর্যায়ে সন্দেহ বাড়ে। তারপরই খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভাঙতেই ভয়ংকর দৃশ্য। দেখা যায়, একই শাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন মামণি ও তাঁর চারবছরের মেয়ে প্রজ্ঞা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকালে মা ও মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ দু’টি উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। জানা গিয়েছে, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল দু’টি দেহ। মামণির গলায় গামছার ফাঁস ছিল। তাঁর চার বছরের মেয়ের গলায় ছিল ওড়নার ফাঁস। মৃতার স্বামী প্রভঞ্জন বর্মণকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তিনি রবিবার রাতে ‘ডিউটি’তে ছিলেন। সোমবার সকালে বাড়ি ফিরে স্ত্রী এবং সন্তানের দেহ দেখতে পান। বাড়ির মালিক তপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মৃতার স্বামী রেলে চাকরি করেন। সোমবার সকালে ডিউটি থেকে তিনি বাড়ি ফেরেন। কিন্তু স্ত্রী-কন্যার কোনও সাড়াশব্দ পাননি। বার বার দরজায় টোকা দেন। দরজা খোলেননি মামণি। ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তার পর উনি আমাকে ডাকেন। পুলিশকে খবর দিই আমরা। শেষে দরজা ভেঙে মা-মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মেয়ের হাত বাঁধা ছিল।’’বাড়ির মালিক তপন ভট্টাচার্য জানান, রবিবার রাতেও ভাড়াটে পরিবারটির সঙ্গে কথা হয় তাঁর। এলাকার সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল ওই পরিবারের। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও কোনওদিন অশান্তি হতে দেখা যায়নি। তা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা, তা নিয়ে ধন্দে সকলেই। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।