প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এবার ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে সিবিআই-কে অনুমতি দিল বিশেষ আদালত। আগামী ২১ জানুয়ারি তাঁকে আদালতে পেশ করে তা সংগ্রহ করতে পারবেন তদন্তকারীরা।সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে যে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে ভয়েস স্যাম্পল দিতেই হবে। বিচারক নির্দেশ দেন, আগামী ২১ জানুয়ারি তারিখের মধ্যে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে হবে।সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ইডির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই মুহূর্তে তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আদালত নিয়মিত তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছে। গত সোমবার এই মামলায় চার্জ গঠনের জন্য সশরীরে নয়, তাঁকে ভারচুয়াল আদালতে পেশ করা হয়। চার্জ গঠিত হয়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই তালিকায় রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর স্ত্রী-পু্ত্ররাও।এছাড়া ২৬ টি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার্জ গঠন হয়। তার মধ্যে আদালতের বিশেষ নজরে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এর আগেও তাঁর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা নিয়ে একপ্রস্ত জটিলতা তৈরি হয়েছিল। গত ৬ জানুয়ারি ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়েছিল অসুস্থ ‘কালীঘাটের কাকু’কে। বিচারক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই মামলায় মোট ৫৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তাই প্রথম প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের চার নম্বর ধারায় ‘কালীঘাটের কাকুর’ বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। যদিও তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। কিছুই তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন আদালতে। শরীর আগের থেকে ভাল আছে বলে তাঁকেই বলতে শোনা যায়। এবার কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না বলে মনে করা হচ্ছে।