নিজস্ব সংবাদদাতা :- মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় শিলিগুড়ির ফার্মা সংস্থা ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর সরবরাহ করা ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ (স্যালাইন)-এর বিরূপ প্রতিক্রিয়াই দায়ী, স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর এমনটাই। এর আগে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালেও ওই সংস্থার তৈরি ফের চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যু। এবার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে! অভিযোগের তীর হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বুধবার রাতে সিজার হওয়া একাধিক প্রসূতি (৬ জন) বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুরুতর অসুস্থ হতে শুরু করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় CU-তে|ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় ৩ জনকে। তাঁদের মধ্যেই এক প্রসূতির মৃত্যু হয় শুক্রবার ভোরে। মৃতার নাম মামণি রুইদাস। তাঁর স্বামীর নাম দেবাশীষ রুইদাস। বাড়ি গড়বেতা থানা এলাকায়। বাপের বাড়ি কেশপুর থানাতে। বুধবার রাতে সিজারের পর পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে তাঁর একটি কন্যা সন্তান ও আছে। এদিকে প্রসূতি মৃত্যুর পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ ভুল স্যালাইন বা মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন প্রয়োগের ফলেই মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির এবং বাকি প্রসূতিরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কয়েকজন চিকিৎসকেরদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী।আপাতত সমস্ত সরকারি হাসপাতালকে ওই সংস্থার তৈরি নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের রিঙ্গার ল্যাকটেট-সহ মোট ১৪ ধরনের ওষুধ ও স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। বিস্তারিত তদন্তের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর এবং ড্রাগ কন্ট্রোল থেকে গঠিত হয়েছে দু’টি পৃথক তদন্ত কমিটি।