নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- স্যালাইন কাণ্ড ঘিরে তোলপাড় পরে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। এবার ঘুরল বড় মোড়। ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দিল প্রধান বিচারপতি’র ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।ঘটনায় প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়েরের অনুমতি চান আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ও আইনজীবী কৌস্তব বাগচী।আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির আবেদন সিট গঠন করে তদন্ত। সিবিআই তদন্ত।ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটগুলি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট।অন্যান্য হাসপাতালগুলিতে স্যালাইন সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি করে রিপোর্ট। কি করে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহার করা হল তার রিপোর্ট।
মামলায় দাবি করা হয়েছে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ওই স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে নিষিদ্ধ করে কর্ণাটক সরকার। তার পরেও এরাজ্যে কীভাবে সেই স্যালাইন ব্যববার করা হচ্ছে? এর জন্য তদন্তের প্রয়োজন। আাগামী বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি রয়েছে।উল্লেখ্য, মামলাকারীদের দাবি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ও কলকাতার একটি হাসপাতালে ওই স্যালাইন এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে। মালদহের ক্ষেত্রে ওই স্যালাইন সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন জেলা শাসক। জেলা স্বাস্থ্য় দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে ওই স্যালাইন সরবারব বন্ধ করা হয়।মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইনকাণ্ডে অসুস্থ ৩ প্রসূতিকে গতকালই আনা হয়েছে কলকাতায়। অভিযোগ, বিষাক্ত স্যালাইন দেওয়ার ফলেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। সেদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সিজার হয়েছিল ৫ প্রসূতির। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। শারীরিক অবস্থায় তখন রীতিমতো আশঙ্কাজনক। ICU-কে স্থানান্তরিত করা হয় ৫ জনকেই। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় মামণি রুইদাস নামে এক প্রসূতিকে। বুধবার রাতে সিজারের পর পুত্রসন্তানের জন্য দিয়েছিলেন তিনি। এক কন্যাসন্তানও রয়েছে।
এদিকে, স্যালাইন কান্ডে গুরুতর অসুস্থ তিন প্রসূতিকে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএমে। সাড়ে তিনঘণ্টার পথ অতিক্রম করে তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে।রীতিমতো গ্রিন করিডর করে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। লাইফ সাপোর্টে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁদের।