Breaking News

‘দাগিদের বেতন দিলে সমস্যা তো!’চিহ্নিত অযোগ্যদের বেতন ফেরাতে কী পদক্ষেপ রাজ্যের? উত্তর চাইল হাইকোর্ট!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-স্কুল সার্ভিস কমিশনের এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যা যা নির্দেশ দিয়েছিল, সেগুলি কেন কার্যকর করা হচ্ছে না? প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে কেন দেরি হচ্ছে, এক দিনের মধ্যে এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তা জানাতে বলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলাতেই আদালত জানতে চায়, কেন দেরি হচ্ছে। এসএসসি-র আইনজীবী কয়েক দিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু এক দিনের বেশি সময় দেয়নি আদালত। বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিনের মধ্যে কমিশন এবং পর্ষদকে আদালতের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।হাইকোর্টের নির্দেশের পরও টাকা ফেরতের কোনও প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ওএমআর-ও প্রকাশ করা হয়নি। অনেক ‘অযোগ্য’রা এখনও স্কুলে গিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। পোর্টাল থেকে নাম বাদ যায়নি তাঁদেরও মূলত এই বিষয়গুলি নিয়েই রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বসাক এবং বিচারপতি রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে। তখনই রাজ্যের আইনজীবীর কাছে একগুচ্ছ প্রশ্ন রাখেন বিচারপতি। জানতে চান, “নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত হওয়া ‘অযোগ্য’ বা ‘অবৈধ’দের বেতন ফেরাতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য? ‘অযোগ্য’ চাকরিহারাদের মধ্যে দু’জন এখনও বেতন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ। সেটাই বা কেন হবে?” মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘‘দাগিদের বেতন দিলে তো সমস্যা!’’ আদালতের পর্যবেক্ষণ, চাকরি বাতিলের মামলায় হাইকোর্টের যে সমস্ত নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট পরিবর্তন করেছে, তাতে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। কিন্তু বাকি নির্দেশ কেন কার্যকর করা হয়নি? প্রশ্ন তোলে ডিভিশন বেঞ্চ। মূল মামলাকারীদের আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, ফিরদৌস শামিম।অন্যদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারপতি বসাক প্রশ্ন করেন, নিয়োগের চারটি বিভাগেই পরবর্তী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেটা কোন পর্যায়ে আছে? উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
দীর্ঘ, সওয়াল-জবাবের পর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে সেটা রাজ্যকে মানতে হবে। দ্রুত বেতন ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *