Breaking News

মহাকুম্ভে অমৃতস্নানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু বাংলার দুই বৃদ্ধার!একজন কলকাতার বাসিন্দা,অন্যজন মেদিনীপুরের

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কুম্ভ মেলায় পদপিষ্টের ঘটনায় অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। তার মধ্যে বাংলার দুই বাসিন্দাও রয়েছেন। বুধবার ভোররাতে মৌনি অমাবস্যার পূণ্যস্নানে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হন বাংলার দুই প্রৌঢ়া। মৃতদের একজন কলকাতা এবং অপরজন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বাসিন্দা। পদপিষ্টের ঘটনায় বাংলার আর কেউ মারা গিয়েছেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। খোঁজ চলছে।প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে পূণ্যার্থীদের হুড়োহুড়ির জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জন তীর্থযাত্রীর। তাঁদের মধ্যে একজন আছেন কলকাতার বৃদ্ধা। জানা গেল, মৃতদের মধ্যে আছেন একজন মেদিনীপুরের শালবনির বাসিন্দাও। মৃতার নাম ঊর্মিলা ভুঁইয়া। তঁর বয়স ছিল ৭৮ বছর। রিপোর্ট অনুযায়ী, মেয়ে এবং জামাইের সঙ্গে পূণ্যস্নানের সাধ পূরণ করতে প্রয়াগরাজ গিয়েছিলেন ঊর্মিলাদেবী। তবে স্নানের আগেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থানার গোদাপিয়াসাল কাছারি রোডে। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকারের সাহায্যে বৃহস্পতিবার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর দেহ আনা হবে খড়গপুর শহরে।এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, মৌনী অমাবস্যায় পূণ্যস্নান করতে গিয়ে প্রয়াগরাজে মৃত্যু হয়েছে কলকাতার বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দারের। তাঁর বয়স ছিল ৬৫ বছর। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডে অশ্বিনী নগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বাসন্তী পোদ্দার। ছেলে, মেয়ে ও নিজের বোনের সঙ্গে বাসন্তী পোদ্দার প্রয়াগরাজ গিয়েছিলেন পূণ্যস্নান করতে। জানা গিয়েছে, বিরল ‘ত্রিবেণী যোগে’ পূণ্যস্নানের জন্যে হুড়োহুড়ির মধ্যে বাসন্তী পোদ্দার টাল সামলাতে না পেড়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি পদপিষ্ট হন। এর জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। এই মুহূর্তে বাসন্তী দেবীর মৃতদেহ প্রয়াগরাজ থেকে কলকাতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সলর জানিয়েছেন, মৃতদেহের অবস্থা ভাল নয়, তাই যতটা দ্রুত সম্ভব তা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৃতার ছেলে জানিয়েছেন, দেহের ময়নাতদন্ত হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের একটি কাগজ দিয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছে, পুলিশের একটি টিম ইতিমধ্যে ওই প্রৌঢ়ার বাড়িতে গেছে এবং পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেছে। যা যা করণীয় তা করা হবে। এদিকে স্থানীয় কাউন্সিলর তাপস চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনায় সরাসরি যোগী সরকারের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, দেহের ময়নাতদন্ত পর্যন্ত করা হয়নি, কোনও ডাক্তারকে দিয়ে দেহ পরীক্ষাও করা হয়নি। শুধু একটি কাগজ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *