প্রসেনজিৎ ধর :- দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর ওপর বাঁধের পাশের মাটি ধরে বিপত্তি। রবিবার রাত থেকে এই ঘটনার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে বালুরঘাট লাগোয়া চকভৃগু এলাকায়। ওদিকে একেই ‘বাঁধ ভেঙে গিয়েছে’ বলে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে এই ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দুর্নীতিতে দাবি করেছেন তিনি।রবিবার রাতে ওই বাঁধে যাতায়াতের সিঁড়িটি উলটে যায়। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বাঁধের। কীভাবে বাঁধের এত বড় ক্ষতি হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। খবর পাওয়মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। এলাকায় যায় পুলিশ। পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রও যান ঘটনাস্থলে। রাত পর্যন্ত তাঁরা বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। জলের অতিরিক্ত চাপে এমন বিপত্তি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। জলের চাপ কমাতে সেচদপ্তরের কর্মীরা রাতেই স্লুইস গেট খুলে দেন। নদীবাঁধ তৈরি হয়েছে ২০২৩ সালে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদীবাঁধের উদ্বোধন করেন। তার মাত্র কয়েকদিনে নদীবাঁধের বেহাল দশায় বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। কোনওভাবে জল গ্রামে ঢুকলে বিপদের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এখন শুখা মরশুম। গত কয়েকদিন বৃষ্টিও হয়নি। তারই মধ্যে বাঁধ ভেঙে গেল কীভাবে, সেই প্রশ্নও তুলছে এলাকাবাসী।ওদিকে এই ঘটনাকে বাঁধ ভেঙে গিয়েছে বলে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্তবাবু লিখেছেন, ‘মাননীয়ার অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন আর বিপর্যয় সমার্থক! বছর দুয়েক আগে বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর উপর ড্যাম তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানেও বিপর্যয়। আকস্মিকভাবেই সেই ড্যামও ভেঙ্গে গেল। ঘটনার পর থেকেই যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় মানুষজন। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে যে কায়দায় সর্বত্র প্রতিষ্ঠানিক লুঠ চলছে, তাতে স্পষ্ট আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের মানুষই তাঁর লুঠের সরকারও ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেবেন।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal