প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থেকে কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় আরও ১ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত ফাহরুখ মালিক উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা। ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪টি রাউন্ড উদ্ধার হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া কার্তুজ জীবনতলা থেকে বিক্রি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ওদিকে কলকাতার বিবাদী বাগের যে দোকান থেকে গুলি পাচার হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে তার মালিককে সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে তলব করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার ইশ্বরীপুর এলাকায় অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফের বিশেষ টিম। তদন্তকারীরা শুক্রবার রাতে হাজি রশিদ মোল্লার বাড়িতে হানা দেন। বাড়ির ভিতর অভিযান চালাতেই বেরিয়ে পড়ে ওই বিপুল পরিমাণ কার্তুজ। বাড়ির মালিক-সহ আরও তিন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিরা হলেন হাসনাবাদের বাসিন্দা বছর চল্লিশের আশিক ইকবাল গাজি, পঁয়তাল্লিশ বছরের আবদুল সেলিম গাজি ও শান্তিপুরের জয়ন্ত দত্ত। ধৃত জয়ন্ত দত্ত আবার বিবাদী বাগের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র বিপণিতে কর্মরত। তদন্তকারীদের সন্দেহ, অর্থের বিনিময়ে ওই বিপণি থেকে অস্ত্র পাচার করত জয়ন্ত। সন্দেহের নিরসন করতে শনিবার ওই বিপণিতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়।ওদিকে এই ঘটনায় বসিরহাট থেকে ফাহরুখ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে ১টি অগ্নেয়াস্ত্র ও ৪টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। তবে সেই কার্তুজ জীবনতলা থেকে কেনা নয় বলে জানা গিয়েছে। কার্তুজ কোথা থেকে পাচার হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। এই নিয়ে এই ঘটনায় গ্রেফতারি বেড়ে হল ৫। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, লালবাজারের নাকের ডগা থেকে কার্তুজ পাচার হল, আর জীবনতলা থেকে তা উদ্ধার হওয়ার পর কেন জানতে পারলেন গোয়েন্দারা?
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal