প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ফেন্সিডিল পাচারকে কেন্দ্র করে ফের শিরোনামে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকা। গত মাসেই সেখানে একের পর এক বাঙ্কার আবিষ্কার করেছিল বিএসএফ, যেখান থেকে পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দামের ফেন্সিডিল। এবার সেখানেই আক্রান্ত হল বিএসএফ |ফেন্সিডিল মজুত রাখার খবর পেয়ে পৌঁছে পাচারকারীদের হাতে আক্রান্ত হলেন বিএসএফও। বিএসএফ জওয়ানদের আক্রমণের পাশাপাশি তাদের গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।দিনকয়েক আগেই কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া এলাকা থেকে বাঙ্কারের খোঁজ পেয়েছিল বিএসএফ। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিল উদ্ধার হয়। বাঙ্কারে থরে থরে সাজানো ছিল নিষিদ্ধ ওষুধ। বাংলাদেশে পাচারের জন্য তা মজুত করা হচ্ছিল বলে বিএসএফ জানতে পারে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই গত শনিবার বিএসএফের কাছে গোপন সূত্রে খবর মেলে, মথুরাপুর এলাকায় রিভার পাম্পের ভিতরে প্রচুর ফেনসিডিল মজুত রয়েছে পাচারের জন্য। খবর পেয়ে সোমবার পরিকল্পনা করে বিএসএফ জওয়ানরা অভিযান চালান সেখানে। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়েন এলাকার মহিলারা। বিএসএফের অভিযোগ, সামনের সারিতে মহিলারা থাকলেও পিছনের দিকে ছিল এলাকার দুষ্কৃতীরা। প্রথমেই বিএসএফের গাড়ি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা।ঘটনার খবর পেয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বড়সড় একটি দল সেখানে পৌঁছয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে মথুরাপুর এলাকায় মোট ১০ জনের নামে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্তে নেমেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। তবে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে খবর। মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনার পর বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জে সক্রিয় পাচারচক্রের বিষয়টি স্পষ্ট হল।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal