দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- একদিকে চা–বাগানের উন্নয়ন, শ্রমিকদের স্বার্থ এবং অপরদিকে চা–বাগান এলাকায় পর্যটনের প্রসার। চা–বাগানে যেখানে চা উৎপন্ন হয় সেই জমির সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না বলে মঙ্গলবার নবান্ন থেকে সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যে চা–বাগান এলাকায় চা উৎপন্ন হয় না সেই জমিতে পর্যটনের ভাবনা আছে। উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের উন্নতি ঘটাতে বড় পদক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী তিন বছরের জন্য ৬টি ধুঁকতে থাকা চা বাগান লিজে দেওয়া হচ্ছে। যাতে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ঠিকমতো মাইনে দিতে পারে। একইসঙ্গে চা পর্যটনে জোয়ার আনতে এবং কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্য জোরাল পদক্ষেপ করেছেন মমতা।মুখ্যমন্ত্রী বারবার চা–বাগানের শ্রমিকদের কাছে ছুটে গিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ গেলেই দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে নানা কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর চা–বাগান মালিকদের সুবিধার দিকেও তাকিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো হচ্ছে। তার সঙ্গে আছে ভূতুড়ে রাজনৈতিক দল। বলা হচ্ছে চা–বাগানের জমিতে পর্যটন হবে। এটা একেবারেই নয়। চা–বাগানের জমি রাজ্য সরকারের। তা লিজ দেওয়া হয়। চা–পাতা যেখানে উৎপন্ন হয় সেই জমির সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। যেখানে চা–পাতা উৎপন্ন হয় না সেটা দেওয়া হবে হোটেল, রিসর্ট অথবা হোম স্টে করার জন্য। আগামী তিন বছরের জন্য ৬টি ধুঁকতে থাকা চা–বাগান লিজে দেওয়া হচ্ছে। যাতে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারে। চা পর্যটনে এবং কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্যও পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই বাগানগুলির কর্মীরা বেতন পাচ্ছিলেন না। সেই বাগানগুলি তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়া হচ্ছে। যাতে মালিকরা ভালোভাবে বেতন দিতে পারে। যদি তাঁরা সফলভাবে চালাতে পারেন, কর্মীদের বেতন দিতে পারে, ঠিকমতো প্রভিডেন্ট ফান্ড-গ্র্যাচুইটি দিতে পারে তাহলে বাগানগুলি ৩০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হবে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal